BARUNI Utsav stopped, No Durga Puja, No Hindu would survive in Bangladesh!
If Bangladesh net users and Bloggers have been successful to create such a historical movement as Shahabag, all for Democracy and Secularism, the question remains unanswered why we do lag so far behind!
Palash Biswas
এই তো শুরু হয়ে গেছে , হেফাযাতের ভণ্ড গুলা, ধইরে ধইরে জিজ্ঞেস করতেছে, হিন্দু না মুসলিম?
কালেমা পড়তে পারে নাকি...
বাহহহ...
এখন নাও ঠ্যালা !!!
হাইরে,মুসলিম তো শুধু তোমরাই আমরা তো নাস্তিক...!!!!
তোমরা আগে মানুষ হও,অমানুষদের জন্য ধর্ম না ...
বুঝার চেষ্টা করেন,এই দেশে বিতলামি কইরেন না... সুযোগ আছে চলে যান... নিজেকে মুসলিম বলে বলে টুপি পাঞ্জাবি পড়ে এইসব আজাইরা কাজ-কার্বার করে আমাদের ধর্মকে ছোট করতে যাইয়েন না...
আমরা কিন্তু শাহবাগে কম যাই দেখে মনে কইরেন না যে, শাহবাগে তো মানুষ নাই...
এই ভুল ধারনায় থাইকেন না...
আমরা বের হলে শাহবাগে আর বসে থাকতে বের হব না...
আমাদের তো নাস্তিক বলা হয়, যা খুশি তাই বলেন, তখন দেখবেন, এই ভণ্ড মুসলিমদের থেকে এই নাস্তিক গুলাই ইসলাম ধর্মকে বাঁচাবে এবং অন্য ধর্মের মানুষদের কাছে ইসলাম ধর্মকে ছোট হইতে দিবে না এবং আবার এই দেশকে ধর্ম নিরপেক্ষ একটা রাষ্ট্রতে পরিনত করবে...
আপনাদের যথেষ্ট হয়েছে ,, আর ভণ্ডামি না করে, পাকিস্তান, আরফানিস্থান, লাদেনের লাশের স্থান যেইখানে খুশি চলে যান।
জয় বাংলা...জয় বাংলা...
বিপ্লবীদের জয় হোক...
কার্টেসিঃ (অর্ণব ওয়ারেস খান)
কালেমা পড়তে পারে নাকি...
বাহহহ...
এখন নাও ঠ্যালা !!!
হাইরে,মুসলিম তো শুধু তোমরাই আমরা তো নাস্তিক...!!!!
তোমরা আগে মানুষ হও,অমানুষদের জন্য ধর্ম না ...
বুঝার চেষ্টা করেন,এই দেশে বিতলামি কইরেন না... সুযোগ আছে চলে যান... নিজেকে মুসলিম বলে বলে টুপি পাঞ্জাবি পড়ে এইসব আজাইরা কাজ-কার্বার করে আমাদের ধর্মকে ছোট করতে যাইয়েন না...
আমরা কিন্তু শাহবাগে কম যাই দেখে মনে কইরেন না যে, শাহবাগে তো মানুষ নাই...
এই ভুল ধারনায় থাইকেন না...
আমরা বের হলে শাহবাগে আর বসে থাকতে বের হব না...
আমাদের তো নাস্তিক বলা হয়, যা খুশি তাই বলেন, তখন দেখবেন, এই ভণ্ড মুসলিমদের থেকে এই নাস্তিক গুলাই ইসলাম ধর্মকে বাঁচাবে এবং অন্য ধর্মের মানুষদের কাছে ইসলাম ধর্মকে ছোট হইতে দিবে না এবং আবার এই দেশকে ধর্ম নিরপেক্ষ একটা রাষ্ট্রতে পরিনত করবে...
আপনাদের যথেষ্ট হয়েছে ,, আর ভণ্ডামি না করে, পাকিস্তান, আরফানিস্থান, লাদেনের লাশের স্থান যেইখানে খুশি চলে যান।
জয় বাংলা...জয় বাংলা...
বিপ্লবীদের জয় হোক...
কার্টেসিঃ (অর্ণব ওয়ারেস খান)
ছোট্ট বেলায় স্বপ্ন দেখতাম টাইম ট্রাভেল করার । সায়েন্স ফিকশন মুভি আর হকিং ভাই আমার বালক মনে এই লোভের বীজ বপন করেছিলেন । ৫০০ বছর পিছনে গিয়ে দাদুর দাদুর দাদুকে দেখার খুব শখ ছিল । কিন্তু শয়নে স্বপনে এত্তো করে চাওয়ার পরও হতচ্ছাড়া হকিং বা ওই মুভিওয়ালারা টাইম মেশিনের একপিস টিকেটও কোনদিন পাঠালেন না ! তাই রাগে , দুঃখে স্বপ্নটার অপমৃত্যু ঘটালাম । এত দিনপর আমার মরা গাছে ফুল ফোটার আভাস পাচ্ছি ! এখন শুধু দরকার বিডি সরকারের একটু সুমতি । "হেফাজতি পাস্ট টাইম ট্রাভেল এজেন্সির " ১৩ দফার লাইসেনস খানা পাশ করালেই আমি দাদুর দাদুর দাদুর দেশে ! ইয়াহু !!! ............'শুভ্র '
International Crimes Strategy Forum (আইসিএসএফ) এর
|| প্রেস রিলিজ ||
সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে আইসিএসএফ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে কিছু মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সাধনের উদ্দেশ্যে, এবং সামাজিক সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে সোচ্চার। 'হেফাজতে ইসলাম' নামের আড়ালে জামায়াত ইসলামীসহ এই দুষ্টচক্র সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের মহান স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও নারী জাগরণের উন্মেষ রোধে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আরো লক্ষ করছি যে সরকার এসব ধর্মীয় চরমপন্থী গোষ্ঠীকে সঠিকভাবে মোকাবিলায় ব্যার্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
আমরা হেজাফতে ইসলামসহ এই জাতীয় দলগুলোর তথাকথিত লংমার্চ এবং হরতাল কর্মসূচির নামে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রতিথযশা নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, এবং শাহবাগে অবস্থানরত তারুণ্যের উপর মৌলবাদীদের সুপরিকল্পিত হামলা ও আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটি মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তা, এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে নগ্ন আক্রমণ। আমরা মনেকরি, বাংলাদেশের একটি ক্রান্তিকালীন সময়ে যখন আপামর জনসাধারণ ১৯৭১ এ সংঘটিত যাবতীয় মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ, ও গণহত্যার বিচারের জন্য ঐক্যবদ্ধ, সেই সময়ে একটি চিহ্নিত মৌলবাদী গোষ্ঠির প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদে এ-ধরনের হিংসাত্মক আক্রমণ আমাদের আরো ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত করবে মাত্র।
আমরা জানি, এদেশের প্রগতিশীল আন্দোলনে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে জনাব শাহরিয়ার কবির এবং অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মতো ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা অনন্যসাধারণ। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশরত অবস্থায় তাঁদের ওপর ব্যক্তিগতভাবে এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমাবেশের উপর হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের আক্রমণ প্রমাণ করে যে উগ্র মৌলবাদী শক্তির কাছ থেকে আমরা কেউই নিরাপদ নই। এই আক্রমণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীর উপর বলেই আইসিএসএফ মনে করে।
দ্বিতীয়ত, পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত নারী সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ আমাদের উদার, প্রগতিশীল, এবং গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে এ-ধরনের মধ্যযুগীয় নৃশংসতা নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত। সাহসী সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন সহ সকল সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা বাংলাদেশে মুক্তভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, আইসিএসএফ এই প্রত্যাশা করে। এই ঘৃণ্য আক্রমণ চলতে দেওয়া নারীমুক্তি ও একটি সুষম সমাজের বিকাশে অন্তরায়। বাংলাদেশের নারীদের উপর ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী চক্র এ-দেশকে একটি পশ্চাৎমুখী সমাজব্যবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করবো আগামি দিনগুলিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাতে পুরুষ এবং নারীর সমঅধিকারের ভিত্তিতে একটি সুষম সমাজের বিনির্মাণে বাধা প্রদানকারী কুচক্রীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে। পাশাপাশি আমরা ঘটনার সময় উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বহীন আচরণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
তৃতীয়ত, আমরা উৎকণ্ঠিত হয়ে লক্ষ করছি যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিশিষ্ট প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকেও সাম্প্রতিক সময়ে হুমকি ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। দুই দফায় তাঁর বাসায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলেছে এবং তাঁর নিকটাত্মীয়দের নানান ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আইসিএসএফ মনে করে এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এই বিচারের সাথে জড়িত সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিত চলমান একটি প্রক্রিয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুধু একটি গণদাবি নয়, এটি মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতি আমাদের একটি পবিত্র দায়িত্ব। এই তাৎপর্যপূর্ণ কাজে যাঁরা নিয়োজিত আছেন তাঁদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
চতুর্থত, হেফাজতে ইসলামের মঞ্চ থেকে মুক্তচিন্তার চর্চাকারি ব্লগার এবং গণজাগরণ মঞ্চের উপর বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, তাঁদের নাস্তিক বলে অভিযুক্ত করা, এবং তাঁদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষার ব্যবহার একটি গণতান্ত্রিক সমাজে কাম্য হতে পারে না। আইসিএএসএফ হেফাজতে ইসলামের এই অবস্থানকে তীব্রভাষায় নিন্দা জানাচ্ছে এবং মনে করছে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে অচিরেই বাংলাদেশে সকল ধরনের মুক্তচিন্তার চর্চা হুমকির সম্মুখীন হবে। আমরা আশা করি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারের দায়িত্বশীল মহল সাংবাদিক এবং মুক্তিযদ্ধের পক্ষের সকল ব্যক্তি ও সংগঠনের নিরাপত্তা বিধানে ভবিষ্যতে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
আইসিএসএফ বিশ্বব্যাপী ১৩টি ভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন ব্যক্তির সমন্বয়ে ২০০৯ সালে গঠিত একটি ফোরাম, যারা ১৯৭১ সালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান, আইনের শাসন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭১ সালে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়। এই ক্রান্তিলগ্নে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিতে একতাবদ্ধ অবস্থান এবং আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে আইসিএসএফ মনে করে।
নিবেদনক্রমে,
আইসিএসএফ
লণ্ডন, যুক্তরাজ্য; ৮ এপ্রিল ২০১৩
|| প্রেস রিলিজ ||
সাম্প্রতিক ঘটনাবলির আলোকে আইসিএসএফ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে কিছু মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সাধনের উদ্দেশ্যে, এবং সামাজিক সম্প্রীতিপূর্ণ বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে সোচ্চার। 'হেফাজতে ইসলাম' নামের আড়ালে জামায়াত ইসলামীসহ এই দুষ্টচক্র সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের মহান স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও নারী জাগরণের উন্মেষ রোধে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আরো লক্ষ করছি যে সরকার এসব ধর্মীয় চরমপন্থী গোষ্ঠীকে সঠিকভাবে মোকাবিলায় ব্যার্থতার পরিচয় দিচ্ছে।
আমরা হেজাফতে ইসলামসহ এই জাতীয় দলগুলোর তথাকথিত লংমার্চ এবং হরতাল কর্মসূচির নামে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রতিথযশা নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, এবং শাহবাগে অবস্থানরত তারুণ্যের উপর মৌলবাদীদের সুপরিকল্পিত হামলা ও আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটি মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তা, এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে নগ্ন আক্রমণ। আমরা মনেকরি, বাংলাদেশের একটি ক্রান্তিকালীন সময়ে যখন আপামর জনসাধারণ ১৯৭১ এ সংঘটিত যাবতীয় মানবতাবিরোধী অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ, ও গণহত্যার বিচারের জন্য ঐক্যবদ্ধ, সেই সময়ে একটি চিহ্নিত মৌলবাদী গোষ্ঠির প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদে এ-ধরনের হিংসাত্মক আক্রমণ আমাদের আরো ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত করবে মাত্র।
আমরা জানি, এদেশের প্রগতিশীল আন্দোলনে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে জনাব শাহরিয়ার কবির এবং অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মতো ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা অনন্যসাধারণ। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশরত অবস্থায় তাঁদের ওপর ব্যক্তিগতভাবে এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমাবেশের উপর হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের আক্রমণ প্রমাণ করে যে উগ্র মৌলবাদী শক্তির কাছ থেকে আমরা কেউই নিরাপদ নই। এই আক্রমণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীর উপর বলেই আইসিএসএফ মনে করে।
দ্বিতীয়ত, পেশাগত দায়িত্বে নিয়োজিত নারী সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ আমাদের উদার, প্রগতিশীল, এবং গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে এ-ধরনের মধ্যযুগীয় নৃশংসতা নিন্দনীয় ও অনভিপ্রেত। সাহসী সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন সহ সকল সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা বাংলাদেশে মুক্তভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, আইসিএসএফ এই প্রত্যাশা করে। এই ঘৃণ্য আক্রমণ চলতে দেওয়া নারীমুক্তি ও একটি সুষম সমাজের বিকাশে অন্তরায়। বাংলাদেশের নারীদের উপর ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী চক্র এ-দেশকে একটি পশ্চাৎমুখী সমাজব্যবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করবো আগামি দিনগুলিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাতে পুরুষ এবং নারীর সমঅধিকারের ভিত্তিতে একটি সুষম সমাজের বিনির্মাণে বাধা প্রদানকারী কুচক্রীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে। পাশাপাশি আমরা ঘটনার সময় উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বহীন আচরণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
তৃতীয়ত, আমরা উৎকণ্ঠিত হয়ে লক্ষ করছি যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের বিশিষ্ট প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকেও সাম্প্রতিক সময়ে হুমকি ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। দুই দফায় তাঁর বাসায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলেছে এবং তাঁর নিকটাত্মীয়দের নানান ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আইসিএসএফ মনে করে এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এই বিচারের সাথে জড়িত সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিত চলমান একটি প্রক্রিয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুধু একটি গণদাবি নয়, এটি মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতি আমাদের একটি পবিত্র দায়িত্ব। এই তাৎপর্যপূর্ণ কাজে যাঁরা নিয়োজিত আছেন তাঁদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
চতুর্থত, হেফাজতে ইসলামের মঞ্চ থেকে মুক্তচিন্তার চর্চাকারি ব্লগার এবং গণজাগরণ মঞ্চের উপর বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, তাঁদের নাস্তিক বলে অভিযুক্ত করা, এবং তাঁদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষার ব্যবহার একটি গণতান্ত্রিক সমাজে কাম্য হতে পারে না। আইসিএএসএফ হেফাজতে ইসলামের এই অবস্থানকে তীব্রভাষায় নিন্দা জানাচ্ছে এবং মনে করছে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে অচিরেই বাংলাদেশে সকল ধরনের মুক্তচিন্তার চর্চা হুমকির সম্মুখীন হবে। আমরা আশা করি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারের দায়িত্বশীল মহল সাংবাদিক এবং মুক্তিযদ্ধের পক্ষের সকল ব্যক্তি ও সংগঠনের নিরাপত্তা বিধানে ভবিষ্যতে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।
আইসিএসএফ বিশ্বব্যাপী ১৩টি ভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন ব্যক্তির সমন্বয়ে ২০০৯ সালে গঠিত একটি ফোরাম, যারা ১৯৭১ সালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান, আইনের শাসন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭১ সালে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়। এই ক্রান্তিলগ্নে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিতে একতাবদ্ধ অবস্থান এবং আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে আইসিএসএফ মনে করে।
নিবেদনক্রমে,
আইসিএসএফ
লণ্ডন, যুক্তরাজ্য; ৮ এপ্রিল ২০১৩
Mind you the citizenship agitation which we launched and now spearheaded by Subodh and his Samanayaya Samiti has adopted Hindutva identity and they hope that RSS would stand with Bengali partition victim refugees. They organised a rally in New Delhi last time, which was attended by Chandan Mitra, BJP MP and editor of Pioneer. Since then Chandan Mitra or Pioneer have been failure to raise the citizenship issue. They may not. Because, LK Adwani and Pranab Mukherjee jointly enacted the Citizenship amendment Act and Adwani had been instrumental to launch deportation drive against Partition victims and minorities. RSS is behind Assam riots. RSS is spearheading the Hindutva movement which has set hell losing aginst Hindus living in Bangladesh, Pakistan and middle east, southeast countries.In Bengal Brahaminical political parties have been misusing refugees and Matua movement as use and throw tool! Unless we stand for democracy and secularism, we may not be able to defend our people.
I am posting update from Bangladesh in Bengali, Hindi and English.Refugee influx greater than 1971 is most imminent if we remain silent against Hindu Imperialism. Nikhil Bharat udvastiU Samanyaya Samiti is organizing a rally on Jantar Manrtar New Delhi to highlight the imminent crisis as well as the plight of minorities in Bangladesh, directly connected with refugee problem in India.We welcome. But this occasion should not be hijacked by the Hindutva forces!
If Bangladesh net users and Bloggers have been successful to create such a historical movement as Shahabag, all for Democracy and Secularism, the question remains unanswered why we do lag so far behind!
I would be posting direct updates for Bangldesh separately to keep you all informed. Menaswhile, I am posting yet another Islamist version. We do not support them. Do not endorse them. But we should know the implications so complex as it is the question of survival of ten million Hindus stranded in Bangladesh and also for those Indian citizens who have been selected for deportation thanks to biometric citizenship.
শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ updated their cover photo.
অরাজনৈতিক মহাসমাবেশের রাজনৈতিক প্রভাব
ড. মিয়া মুহাম্মদ আইয়ুব
তারিখ: ৯ এপ্রিল, ২০১৩
গত ৬ এপ্রিল ২০১৩ ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে যে মহাসমাবেশ হলো তা শুধু ঐতিহাসিক নয়, এক কথায় অবিস্মরণীয় ও অভূতপূর্ব। বাংলদেশের ইতিহাসে এ রকম বিশালকায় জনসমুদ্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সমাবেশ এর আগে কখনো হয়েছে বলে কোনো রেকর্ড নেই। দেশের এক ক্রান্তিকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশটির বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে ঘটনাটিকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।
প্রথমত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে দেশের এক শ্রেণীর রাজনীতিক, সংস্কৃতিকর্মী ও বুদ্ধিজীবী সেকুলারিজমকে জাতীয় আদর্শ হিসেবে জাতীয় জীবনের সর্বত্র শক্তভাবে প্রোথিত করার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে যেভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল, শাপলা চত্বরে আলেমদের মহাসমাবেশ তার ওপর একটি বড় ধরনের চপেটাঘাত। যারা মনে করত যে, একমাত্র সেকুলারদের মনন ও অভিপ্রায়ই হচ্ছে দেশের জনগণের একমাত্র পরিচয় এবং রাজনীতিতে ধর্মীয় চেতনার ভূমিকা গৌণ, তারা নিঃসন্দেহে বড় একটা হোঁচট খেয়েছেন। বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর দিলারা চৌধুরীর মতে, শাহবাগ চত্বরের বাড়াবাড়ির কারণেই হেফাজতে ইসলামের আহ্বানে জনগণ বিপুলভাবে সাড়া দিয়েছে। আজ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও রাজনীতিকদের জন্য একটি বড় মেসেজ হলো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মকে বিশেষত ইসলামকে উপো করার সুযোগ আর নেই। এ দেশের রাজনীতিতে ইসলাম একটি অনস্বীকার্য উপাদান হিসেবে নতুন করে জেগে উঠেছে। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।
দ্বিতীয়ত, হেফাজত ইসলামের নেতারা বলেছেন, তাদের আন্দোলন ও দাবিদাওয়ার সাথে রাজনীতির সম্পর্ক নেই; সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। তারা সরকার পরিবর্তন করতে বা মতায় যেতে চান না। সন্দেহ নেই যে, হেফাজতে ইসলাম দৃশ্যত কোনো রাজনৈতিক দল নয় এবং প্রচলিত রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিও তাদের নেই। তবে তারা যে ১৩ দফা দাবিদাওয়া পেশ করেছেন তা একটি রাজনৈতিক সরকারের কাছে পেশ করা হয়েছে এবং সরকারও বিষয়গুলোতে রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। যেমন প্রথম দফায় বলা হয়েছে, দেশের সংবিধানে অন্যতম রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে 'ধর্মনিরপেতা' বাদ দিয়ে 'আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস' প্রতিস্থাপন করতে হবে। দাবিটি মানতে হলে দেশের সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তন করে জাতীয় সংসদ এবং এটি হচ্ছে সর্বোচ্চ মাত্রার রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এর সদস্যরা হচ্ছেন এক শ' ভাগ রাজনৈতিক। ১৯৭২ সালের সংবিধানে 'ধর্মনিরপেতা' ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে জনগণের ম্যান্ডেট ছিল না। ১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান 'ধর্মনিরপেতা'র স্থলে 'আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস' প্রতিস্থাপন করেন এবং গণভোটে তার অনুমোদন নেন। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর তা সংবিধানে বহাল ছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তথা ১৪ দলীয় মহাজোট সরকার 'ধর্মনিরপেতা' পুনর্বহাল করে। এটি এখন উচ্চমাত্রার একটি রাজনৈতিক বিষয়। সন্দেহ নেই যে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটসহ দেশের বিরাট জনগোষ্ঠী 'ধর্মনিরপেতা'র বিরোধী। হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিলের সমাবেশ এই রাজনৈতিক বিষয়টির গুরুত্বকে আরো প্রকট করে তুলল। এ ছাড়াও অন্যান্য দাবির সাথে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা রয়েছে। যেমন নাস্তিক ও ধর্ম অবমাননাকারীদের শাস্তির বিধান সংবলিত আইন পাস করার দাবিটিও সংসদে পেশ করতে হবে এবং রাজনৈতিক সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। এটি যেকোনো সরকারের জন্য একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। অন্য দাবিগুলোরও একইভাবে রাজনৈতিক সংশ্লেষ রয়েছে। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সব দাবি মানা যাবে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধের দাবিকে অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল আলম হানিফ কোনো কোনো দাবিকে 'মধ্যযুগীয় বর্বরতা'র সাথে তুলনা করেছেন। কেউ কেউ ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধের দাবি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন, তাহলে কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা ভেঙে ফেলতে হবে? বিষয়টির রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এতই বেশি যে, কোনো সরকারের পে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হবে। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতা আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী তার ভাষণে বলেছেন, 'মতা থেকে কাউকে সরানো বা কাউকে মতায় বসানোর কোনো দাবি নয়: কিন্তু মতায় থাকতে হলে এসব দাবি মেনেই থাকতে হবে, আবার মতায় যেতে হলেও এসব দাবি মেনেই যেতে হবে।' সুতরাং হেফাজতে ইসলাম রাজনীতিতে অবতীর্ণ না হলেও তারা রাজনীতির একটি শক্তিশালী উপাদান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
তৃতীয়ত, আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রতিটি সমাজে রয়েছে রাজনৈতিক শক্তি যারা সমাজের অন্যান্য স্বার্থরাকারী শক্তিগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের সমর্থনের পরিধি বৃদ্ধি করে। এগুলোর মধ্যে শ্রমিক ও ছাত্রসংগঠন, পেশাজীবী সংগঠন ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠন রয়েছে। ইদানীং এনজিও এবং সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের মতো আধুনিক রাষ্ট্রে আলেমসমাজ যে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি তা এত দিন কোনো কোনো মহলের বিবেচনায় ছিল না। আবার কেউ কেউ তাদেরকে পশ্চাৎপদ একটি গোষ্ঠী হিসেবে উপো করত। হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিলের সমাবেশ প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের আলেমসমাজ একটি সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত ও সচেতন জনগোষ্ঠী। তাদের নেতৃত্ব সমাজের অনেক গভীরে শিকড় গেড়ে আছে, যা উৎপাটন করা সম্ভব নয়। নিঃসন্দেহে তারা এবারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিভিল সোসাইটি সংগঠন হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করেছে। এদের কণ্ঠকে এখন থেকে কেউ আর উপো করতে সাহসী হবে না।
চতুর্থত, হেফাজতে ইসলামের ৬ এপ্রিলের সমাবেশে কত লাখ লোক এসেছিল তা কেউ বলতে পারবে না। তবে এটা সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান ছিল যে, সমাবেশের কমপে ৯০ শতাংশের বেশি লোক ছিল তরুণ। দেশের তরুণদের একটা বিরাট অংশ যে সেকুলার শাহবাগীদের সাথে নেই; বরং তাদের চিন্তাচেতনার বিপরীতে অবস্থান করছে সেটি অনেকেই বারবার তা বলে আসছিলেন। সে কথা এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো। শহরের বিত্তবান ও উচ্চমধ্যবিত্ত সমাজের হাতছানিতে যারা মরীচিকার পেছনে ছুটে চলেছে সেসব তরুণ-তরুণীর বিপরীতে নিষ্কলুষ জীবনধারার অনুসারী তরুণদের আধ্যাত্মিক চেতনা যে কতটা শাণিত তা শাপলা চত্বরে প্রতিভাত হয়েছিল। সাম্প্রতিক কালে তরুণদের প্রকৃত গণজাগরণ ঘটেছে শাপলা চত্বরে-শাহবাগে নয়। শাহবাগের সমাবেশ ছিল কৃত্রিম সরকারি নিরাপত্তায়, বিনা পয়সার খানাপিনায়, বিনোদন-উচ্ছলতায়, প্রতিহিংসার উন্মত্ততায় ও অশালীনতায় পরিপূর্ণ। অপর দিকে শাপলা চত্বরে তরুণেরা এসেছিল বাধার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে, ভুখা-নাঙা শরীরে। তারা হেঁটে এসেছে সৌম্য ও শান্ত অবয়বে। তাদের হাতে ছিল না লাঠি বা লগি-বৈঠা; না ছিল কোনো দেশী অস্ত্র। তাদের কণ্ঠে ছিল না কোনো উগ্র রাজনৈতিক স্লেøাগান; কেবল আল্লাহর জিকির করতে করতে তারা সময় পার করেছে। ছিল না কোনো অভিযোগ বা না পাওয়ার বেদনা। কেউ তাদের বাধ্য করেনি দীর্ঘযাত্রার পথ পাড়ি দিতে।
পঞ্চমত, এই সমাবেশে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। সব শ্রেণী ও পেশার লোকেরা এতে দলে দলে অংশ নেয়। দল-মত নির্বিশেষে আল্লামা শফীর আহ্বানে অসংখ্য মানুষ শাপলা চত্বরে হাজির হয়। কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া যেভাবে সাধারণ মানুষ লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের খাদ্য-পানীয় দিয়েছে তা এক কথায় অভাবনীয়। এদৃশ্য এটার ইঙ্গিত দেয় যে, বাংলাদেশের জনগণ সময়মতো ঐক্যবদ্ধ হতে জানে। বিশেষ করে ইসলামের মর্যাদা রার স্বার্থে আলেমদের ডাকে তারা যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। প্রত্যদর্শীরা জানিয়েছেন, পানি বিক্রেতা, ডাবওয়ালা, শসা বিক্রেতা, তার সব পণ্য বিনা পয়সায় বিতরণ করে দিয়েছে। এভাবে গরিব ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ হেফাজতের সমাবেশকে দিয়েছিল এক অনন্য বৈশিষ্ট্য।
ষষ্ঠত, বেশ কিছু দিন থেকেই বিশিষ্ট নাগরিক ও বিশ্লেষকরা বলে আসছিলেন, শাহবাগের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জাতি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। হেফাজতের সমাবেশ এই বিভাজনকে আরো তীè করে দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ শাহবাগের কথিত জাগরণ যুদ্ধাপরাধের বিচারে ফাঁসির রায় দাবির মধ্য দিয়ে শুরু হলেও তা ক্রমান্বয়ে ইসলামি রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে গড়ায় এবং ঘটনাক্রমে প্রায় একই সময়ে নাস্তিক ব্লগারদের ইসলামবিরোধী স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে পড়ে। এতে সমগ্র দেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সরকার অনেকটা প্রকাশ্যে নাস্তিক ব্লগারদের প নেয়। গর্জে ওঠে দেশের আলেমসমাজ। ঘোষিত হয় লংমার্চ। এর প্রতি সমর্থন জানায় প্রধান প্রধান ডান ও ইসলামপন্থী সব দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। অপর দিকে সরকার হেফাজতের দাবি মেনে নেয়ার বিষয় বিবেচনায় না নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করার উদ্যোগ নেয়। আওয়ামী লীগ এবং সেকুলার বাম ঘরানার দলগুলো আলেমদের আন্দোলনে সমর্থন দানে বিরত থাকে। তারা আরো আগ বাড়িয়ে কয়েকটি ুদ্র সংগঠনকে ব্যবহার করে ৬ এপ্রিল হরতাল ও অবরোধ আহ্বান করায়। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও তাদের কর্মী বাহিনী হেফাজত সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় এবং সব যানবাহন ও পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এর ফলে দৃশ্যত জনমনে এরূপ ধারণা হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ ইসলামবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ যেন নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মেরেছে। ফরহাদ মজহার এ প্রসঙ্গে বলেন, 'এ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে থাকলেও এই প্রথমবারের মতো ইসলাম নিজের প্রাধান্য নিয়ে হাজির হলো। শেখ হাসিনা ইসলামি রাজনীতিকে নির্মূল করতে গিয়ে তাকে আরো প্রতিষ্ঠিত করে গেলেন'। তিনি আরো বলেন, 'ভাষা ও সংস্কৃতিভিত্তিক জাতীয়তাবাদেও যে আধিপত্য গত ৪২ বছর আমরা বাংলাদেশে দেখেছি, তার দুর্বলতা ও য়ের দিকটাও এতে প্রকট হয়ে উঠল।'
সপ্তমত, এবারের ইসলামি সমাবেশের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, সব প্রধান ইসলামি সংগঠন, পীর-মাশায়েখ, ওলামা ঐক্যবদ্ধ হয়ে একই প্ল্যাটফরমে সমবেত হয়েছেন। বাংলাদেশের আলেমরা এর মাধ্যমে একটি বিরাট নজির সৃষ্টি করলেন। তারা উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে নিজেদের মধ্যকার ছোটখাটো মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে কুণ্ঠিত হননি। এ জন্য তারা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
অষ্টমত, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ইসলামি সংগঠনগুলো নেতৃত্ব প্রশ্নে কার্যকর ঐক্য গড়ে তুলতে হিমশিম খেয়ে থাকে। কিন্তু তারা এবারে দেশের বর্ষীয়ান আলেম মুফতি শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে সহজেই ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তার নেতৃত্ব নিয়ে কোনো মতপার্থক্য দেখা দেয়নি। আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ আল্লামা শফী জাতির এক মহা ক্রান্তিকালে এক দার্শনিক রাজার ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছেন। জাতি এমনি এক নেতৃত্বের অপোয় ছিল। দেশের ইসলামপ্রিয় জনগণ যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিল ঠিক তখনই তিনি আলোর বর্তিকা হাতে নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। ইতিহাসের পাতায় তার ভূমিকা স্বর্ণারে লিখিত থাকবে। ইরানের জনগণ ও আলেমসমাজ যেভাবে ইমাম খোমেনির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শাহের বিরুদ্ধে ইসলামি বিপ্লব ঘটিয়েছিল বাংলাদেশের জনগণ ও আলেমসমাজও আল্লামা শাহ আহমদ শফীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সে রূপ একটি ঐতিহাসিক নজির স্থাপন করলেন। পাশাপাশি মুফতি শফী সাহেবের সহকর্মী ও সহযোগীরা যে সাংগঠনিক দতার পরিচয় দিয়েছেন তাও চোখে পড়ার মতো। আমাদের দেশের আধুনিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের চেয়ে তারা অনেক বেশি দতা ও শৃঙ্খলার পরিচয় দিতে সম হয়েছেন। এমনকি দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণ যে এতটা সুশৃঙ্খল হতে পারে তা আগে আমরা অনুভব করিনি। আমাদের সামনে তো শুধু উন্মত্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডই চলে। ধর্মীয় জীবনযাপন যে দেশের জন্য সুনাগরিক তৈরি করতে পারে নীতিপ্রণেতা ও রাজনৈতিক নেতারা এ ঘটনা থেকে শিা নিতে পারেন।
নবমত, এই ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ থেকে কারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে? সরকারদলীয় নেতারা এবং শাহবাগীরা বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর বি-টিম হিসেবে কাজ করছে। তারা যুদ্ধারাধীদের বাঁচাতে মাঠে নেমেছে। হেফাজতে ইসলাম নেতারা এরূপ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাদের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। অনেকেই জানেন যে, দেওবন্দ সিলসিলার বা কওমি মাদরাসার আলেমদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতপার্থক্য দীর্ঘ দিনের। যদিও তা কখনোই প্রকট আকার ধারণ করেনি। তবে এটাও উল্লেখ্য, তাদের মতপার্থক্য ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে নয়। আবার এটাও সত্য যে, কওমি মাদরাসার আলেমরাই দেশের প্রধান ধারার ধর্মীয় নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। আর জামায়াতে ইসলামী দেশের ইসলামি রাজনীতির প্রধান ধারার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। এ দু'টি প্রধান ধারার মধ্যে যদি কোনো সমন্বয় হয়ে থাকে সেটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ইসলামি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের জন্য একটি মাইলফলক হবে। যা-ই হোক, কওমি ধারার আলেমদেরকে জামায়াত তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে মাঠে নামাতে সম হয়েছে এমনটি মনে করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। সে সামর্থ্য জামায়াতের আছে বলে মনে হয় না। সরকারি দল ও বাম নেতারা এরূপ অভিযোগ করে জামায়াতের শক্তিসামর্থ্যকে জাতির সামনে অনেক বড় করে তুলে ধরছেন। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের ১৩ দফা দাবির সাথে জামায়াতের চিন্তাচেতনার মিল রয়েছে। সুতরাং তাদের লাভ ছাড়া কোনো লোকসান নেই।
দশমত, বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক মহাসমাবেশ আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশী ভারতের জন্য একটি বিশেষ বার্তা দিয়ে গেল। তারা এ দেশের জনগণের মনমননের একটি প্রতিচ্ছবি বাস্তবে দেখতে পেল, যা তাদের ভূরাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে সহায়ক হবে।
পরিশেষে এটা বলা সমীচীন হবে যে, বর্তমান সরকারের ইসলামি রাজনীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ফলে অনেকেই বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। এ দেশে ইসলামের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ জাতিকে একটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিয়ে গেল যার রেশ দেশের রাজনীতি ও সমাজ-সংস্কৃতিতে দীর্ঘকাল অনুরণিত হবে। বিশিষ্ট সমাজ বিশ্লেষক ও কবি ফরহাদ মজহার মনে করেন, 'ইসলাম প্রশ্ন আগামী দিনে বাংলাদেশের রাজনীতির নির্ধারক হয়ে উঠবে। রাজনীতি যেভাবে গঠিত হতে থাকবে তার মধ্যে ইসলাম প্রশ্নের মীমাংসা গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হয়ে নানাভাবে হাজির হতে থাকবে।'
লেখক : সাবেক সচিব
আমি একজন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান। আমার জন্ম মদিনায়। আমার জন্মের পর ৭ টি বছর আমি কাটিয়েছি এই পুণ্যভূমিতে। এখনও আমার জমজম কূপের সেই শীতল পানি খাওয়ার কথা মনে পড়ে, সাফা মারওয়ায় দৌড়ানোর কথা মনে পড়ে, আব্বুর সাথে হেরেম শরিফে নামাজ পড়ার কথা মনে পড়ে, চার বছর বয়সেই কুরআন শরীফ পড়ার কথা মনে পড়ে। মাঝে নামাজে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম, তবে আল্লাহ্র রহমতে সম্প্রতি আবারও নিয়মিত নামাজ পড়ছি। আমি নিজেকে মুমিন বান্দা সার্টিফাইড করার জন্য এগুলো বলছিনা, তবে আল্লাহ্র ওয়াস্তে কেউ আমাকে নাস্তিক, মুরতাদ, ধর্ম ব্যবসায়ী বলে ট্যাগ দিয়েন না, আমি কাফির না মুমিন তা নির্ধারণ করবেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা।
যাই হোক, এই মুহূর্তে হেফাজতে ইসলাম হচ্ছে টক অফ দ্যা কান্ট্রি। দেশব্যাপী বিরাজ করছে চরম উত্কণ্ঠা। দেশে কী ঘটতে যাচ্ছে—এ নিয়ে জনমনে শঙ্কার পাশাপাশি চলছে নানা বিশ্লেষণ ও আলোচনা-সমালোচনা। একজন মুসলমান হয়েও কেন আমি হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির বিপক্ষে তা ক্লিয়ার করতে চাচ্ছি।
# প্রসঙ্গঃ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং হেফাজতে ইসলাম
ইসলামের দৃষ্টিতে মাফ নেই যুদ্ধাপরাধীদের। পবিত্র কুরআনের সূরা মায়িদার ৪৫ নং আয়াতে এবং সূরা বাক্বারা আয়াত নম্বর ১৭৮, ১৭৯ থেকে জানা যায়, যতক্ষণ পর্যন্ত না ক্ষতিগ্রস্থের পরিবার অপরাধকারীকে ক্ষমা না করে ততক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীর গুনাহ মাফ হচ্ছে না এবং অপরাধীর বিচার করতে হবে ক্ষতিগ্রস্হদের উপর কৃত অপরাধের ভিত্তিতেই। আর যারা এই বিচার মানবে না তারা গণ্য হবে জালিম হিসেবে।
কিন্তু দেখুন, ১৫ই মার্চ চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবি উঠেছে। খোলসের উন্মোচন হয়ে গেছে তখনই, তাই নয় কি ?
তারা যদি সত্যিকারার্থে ইসলামের সেভিওর হয়ে থাকতেন, তাহলে তাদেরকে জামায়াতে ইসলামের ব্যাপারে তারা কঠোর হতেন। যিনি মনেপ্রাণে মুসলিম, তিনি কখনই জামায়াত শিবিরকে সাপোর্ট করতে পারেন না। জামায়াত শিবিরের মত উগ্র ধর্মান্ধ দলই পারে ধর্মের অপব্যবহার করতে, ধর্মকে পুঁজি করে ক্ষমতা আরোহণের নির্লজ্জ চেষ্টায় নিমজ্জিত হতে। হাতের রগ কাটা, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট থেকে এমন কোন লোমহর্ষক কাজ নেই যা তারা করেনি। ৭১ এ এমন কাজ তারা করেছে, যা কোনভাবেই ইসলামপন্থী হতে পারেনা।
কিন্তু কই কোথাও তো হেফাজতে ইসলামকে জামায়াতে ইসলামের বিপক্ষে কিছু বলতে দেখলাম না। তাহলে কি ধরে নিব আমরা ???
## প্রসঙ্গঃ কুরআনের আয়াতসমগ্র এবং হেফাজতে ইসলাম
"...যারা ধর্ম সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করেছে ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন কাজের দায়িত্ব তোমার নেই, তাদের বিষয় আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত।..." –আল কোরআন (সুরা আনআমঃ১৫৯)
"...ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই। সৎ পথ ভ্রান্তপথ থেকে সুস্পষ্ট হয়েছে।..." –আল কোরআন (সুরা বাকারাঃ২৫৬)
"...(ধর্ম সম্পর্কে) বিদ্রূপকারীদের বিরুদ্ধে আমিই (আল্লাহ) আপনার জন্য
যথেষ্ট..." –আল কোরআন (সুরা হিজরঃ৯৫)
"...যদি তারা আত্মসমর্পণ (আল্লাহর কাছে) করে তবে নিশ্চয়ই তারা পথ পাবে। আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কাজ তো কেবল প্রচার করা। আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে সকল বান্দা।"–আল কোরআন
(সুরা আল ইমরানঃ২০)
"...তারপর ওরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কর্তব্য তো শুধুমাত্র স্পষ্ট বাণী পৌঁছে দেয়া..."–আল কোরআন (সুরা নাহলঃ৮২)
"...তুমি মানুষকে হিকমত ও সৎ উপদেশ দিয়ে তোমার প্রতিপালকের (আল্লাহর)পথে ডাক এবং তাদের সাথে ভালভাবে আলোচনা কর। তাঁর (আল্লাহর) পথ ছেড়ে যে বিপথে যায় তার সম্পর্কে আল্লাহ্ই ভাল জানেন, আর যে সৎ পথে আছে তা-ও তিনিই ভাল করে জানেন"
– আল কোরআন (সুরা নাহলঃ১২৫)
"...তোমাদের কাজ তো কেবল প্রচার করা, আর হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ..." –আল কোরআন (সুরা রাদঃ৪০)
"...আর তোমাদের এই যে জাতি (মানবজাতি), এ তো একই জাতি। আর আমিই (আল্লাহ্) তোমাদের প্রতিপালক। তাই আমাকেই ভয় কর। কিন্তু তারা (মানুষ) নিজেদের বহু ভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে সন্তুষ্ট। সুতরাং ওদেরকে কিছু কালের জন্য বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।" –আল কোরআন (সুরা মুমিনুনঃ৫২-৫৪)
"...আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারিত করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে... তুমি ওদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক... ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে তবে বল, 'তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ্ ভাল করেই জানেন। তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন..." –আল কোরআন (সুরা হজঃ৬৭-৬৯)
"...যারা ধর্ম সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করেছে ও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন কাজের দায়িত্ব তোমার নেই, তাদের বিষয় আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত।..." –আল কোরআন (সুরা আনআমঃ১৫৯)
"...ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই। সৎ পথ ভ্রান্তপথ থেকে সুস্পষ্ট হয়েছে।..." –আল কোরআন (সুরা বাকারাঃ২৫৬)
"...(ধর্ম সম্পর্কে) বিদ্রূপকারীদের বিরুদ্ধে আমিই (আল্লাহ) আপনার জন্য
যথেষ্ট..." –আল কোরআন (সুরা হিজরঃ৯৫)
"...যদি তারা আত্মসমর্পণ (আল্লাহর কাছে) করে তবে নিশ্চয়ই তারা পথ পাবে। আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কাজ তো কেবল প্রচার করা। আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে সকল বান্দা।"–আল কোরআন
(সুরা আল ইমরানঃ২০)
"...তারপর ওরা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তোমার কর্তব্য তো শুধুমাত্র স্পষ্ট বাণী পৌঁছে দেয়া..."–আল কোরআন (সুরা নাহলঃ৮২)
"...তুমি মানুষকে হিকমত ও সৎ উপদেশ দিয়ে তোমার প্রতিপালকের (আল্লাহর)পথে ডাক এবং তাদের সাথে ভালভাবে আলোচনা কর। তাঁর (আল্লাহর) পথ ছেড়ে যে বিপথে যায় তার সম্পর্কে আল্লাহ্ই ভাল জানেন, আর যে সৎ পথে আছে তা-ও তিনিই ভাল করে জানেন"
– আল কোরআন (সুরা নাহলঃ১২৫)
"...তোমাদের কাজ তো কেবল প্রচার করা, আর হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ..." –আল কোরআন (সুরা রাদঃ৪০)
"...আর তোমাদের এই যে জাতি (মানবজাতি), এ তো একই জাতি। আর আমিই (আল্লাহ্) তোমাদের প্রতিপালক। তাই আমাকেই ভয় কর। কিন্তু তারা (মানুষ) নিজেদের বহু ভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে সন্তুষ্ট। সুতরাং ওদেরকে কিছু কালের জন্য বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও।" –আল কোরআন (সুরা মুমিনুনঃ৫২-৫৪)
"...আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারিত করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে... তুমি ওদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক... ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে তবে বল, 'তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ্ ভাল করেই জানেন। তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন..." –আল কোরআন (সুরা হজঃ৬৭-৬৯)
হেফাজতে ইসলামের কি করা উচিত আর কি করছে তা এবার আপনাদের বিবেচনার দায়িত্ব আপনাদের হাতে ছেড়ে দিলাম।
### প্রসঙ্গঃ তাদের ১৩ দফা দাবীর মাঝে ৩টি দাবীর ব্যাপারে আমার বক্তব্য।
১) মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
আমার বক্তব্য - কোনটি মূর্তি আর কোনটা ভাস্কর্য সেটা আগে বুঝতে হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের দেব-দেবীর মূর্তির পূজো করেন। কিন্তু অপরাজেয় বাঙলা'র মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী ভাস্কর্যকে আমরা পূজো করিনা। এগুলো আমাদের দেশের সম্পদ, আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। এগুলো ধ্বংস করতে চায় হেফাজত- কিসের ভিত্তিতে, কোন যুক্তিতে ?
তাহলে সৌদি আরবে অবস্থিত উটের 'মূর্তি'; ইসলামি রাষ্ট্র ইরানে অবস্থিত কবি শেখ সাদি, কবি ওমর খৈয়াম ও মহাকবি ফেরদৌসির 'মূর্তি' নিয়ে তারা কিছু বলে না কেন ?!? নাকি ওখানে আমাদের চেয়ে কেউ ইসলাম কম বুঝে ?
২) ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
আমার বক্তব্য - কোনটি মূর্তি আর কোনটা ভাস্কর্য সেটা আগে বুঝতে হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের দেব-দেবীর মূর্তির পূজো করেন। কিন্তু অপরাজেয় বাঙলা'র মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী ভাস্কর্যকে আমরা পূজো করিনা। এগুলো আমাদের দেশের সম্পদ, আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। এগুলো ধ্বংস করতে চায় হেফাজত- কিসের ভিত্তিতে, কোন যুক্তিতে ?
তাহলে সৌদি আরবে অবস্থিত উটের 'মূর্তি'; ইসলামি রাষ্ট্র ইরানে অবস্থিত কবি শেখ সাদি, কবি ওমর খৈয়াম ও মহাকবি ফেরদৌসির 'মূর্তি' নিয়ে তারা কিছু বলে না কেন ?!? নাকি ওখানে আমাদের চেয়ে কেউ ইসলাম কম বুঝে ?
২) ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
আমার বক্তব্য- কোনটা বিজাতীয় সংস্কৃতি তা হেফাজতি নেতারা সঠিক ভাবে জানেন কি?আরব দেশের পোশাক ,খাবার,সংস্কৃতি কিভাবে বাঙ্গালির জাতীয় সংস্কৃতি হবে তার উত্তর তারা কিভাবে দিবেন?? এই উত্তর দিতে গেলেই তারা তাদের ধর্ম বিশ্বাস এর অবতারনা করবেন !
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ লিঙ্গ নিরপেক্ষভাবে নারী পুরুষ সবাইকে সমান নাগরিক অধিকার দিতে বাধ্য। এদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটা বড় অংশই নারী, যারা পুরুষের পাশাপাশি কাজ করে এদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করছে। হেফাজতের দাবি মেনে নিলে তাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। হেফাজতের দাবি মেনে নিলে এদেশের নারীরা রাজনীতি করার অধিকার হাড়াবে। খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা, মতিয়া চৌধুরি, পাপিয়া এরা রাজনীতি করতে পারবেন না। আর বিজাতীয় সংস্কৃতি ? তাহলে তো বাংলাদেশ থেকে মার্কিন নাস্তিক মার্ক জুকারবার্গের উদ্ভাবিত ফেসবুক নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বাংলাদেশের যারা যারা নাস্তিক জুকারবার্গের ফেসবুক ব্যবহার করে, তাদেরও বিচার করতে হবে।
হেফাজতে ইসলামের দাবি মেনে নিলে শিশু বয়সের এই উচ্ছলতা আর থাকবেনা। চিন্তা করলেই শিউরে উঠতে হয় !
৩) কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
আমার বক্তব্য- শাহবাগে আস্তিক, নাস্তিক, হিন্দু, মুসলমান সকলেই এসেছিলেন। ঠিক যেমন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেছিলেন সকল ধর্মের অনুসারীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। ধর্মের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ককে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। যার যার ধর্ম তার তার; কিন্তু রাষ্ট্র সকলের। আবার যারা ব্লগার সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখেন না, তারা ব্লগার রাজীবকেই শাহবাগ আন্দোলন হিসেবে বিবেচনা করছেন, কিন্তু এই অথর্ব দাবীর সাথে আমরা একমত নই। শুরুর দিকে শাহবাগে সমন্বয়হীনতার কারণে নানা সমস্যা হলেও, পরবর্তীতে কিন্তু ঠিকই আযানের সময় মাইক বন্ধ করে রাখা হত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের প্রত্যেকটিতে। প্রতিটি সমাবেশেও কিন্তু ঠিক তাই করা হয়েছে। কিন্তু সেদিনও সুমিষ্ট ভাষায় গোলাপি বেগম বক্তৃতা দিয়েই চলেছিলেন আযানের সময়, কই হেফাজতে ইসলাম তো এই নিয়ে কিছু বলেনা !! একজন মুসলমান হিসেবে আমি চাই আমার নবীকে নিয়ে যে কুৎসা রটনা করবে তার সর্বোচ্চ বিচার হউক। কিন্তু আমি এটাও বিশ্বাস করি, কি বোর্ডের জবাব হবে কিবোর্ডের মাধ্যমে, যুক্তির জবাব যুক্তিতে, আবেগের জবাব আবেগে। আমার ধর্মবিশ্বাস এতটা ঠুনকো না যে কেউ কিছু বললেই আমার ধর্মবিশ্বাস টলে যাবে।
প্রসঙ্গঃ লং মার্চ নিয়ে ভ্রান্তির সৃষ্টি
লং মার্চ নাস্তিকদের কর্মসুচি কিনা এই প্রশ্নের জবাবে ইসলামের হেফাজতকারী আল্লামা শফী বলেন-" হযরত মুহাম্মদ (সা।)মক্কা থেকে মদীনা পর্যন্ত লং মার্চ করেছিলেন। " নাউজিবুল্লাহ...
হিজরত শব্দের অর্থ-— দেশান্তর বা মাতৃভূমি ত্যাগ। উল্লেখ্য বিধর্মীদের অত্যাচারের কারণে মুসলমানরা ধীরে ধীরে মক্কা থেকে মদিনায় চলে যান। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহ'র নির্দেশ আসার পর, তিনি হজরত আলী-কে ডেকে, তাঁরে শয্যার উপর চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতে নির্দেশ দেন এবং রাতের অন্ধকারে হজরত আবু বকর সিদ্দিকী (রাঃ)-কে সাথে নিয়ে মক্কা ত্যাগ করেন।
লং মার্চের প্রবর্তক নাস্তিক কমিউনিস্ট মাও সে তুং। হিজরতের সাথে মাও সে তুং এর লং মার্চ তুলনা করে ঈমাম শাফি আপনি নিজেই ইসলাম ধর্মানুসারী কয়েক কোটি মানুষের ধর্মানুভূতি তে আঘাত হানলেন। আপনি কিভাবে ইসলামের হেফাজাত এর দায়িত্ব নিলেন !
তারা বলছেন পৃথিবীর প্রথম লংমার্চ পরিচালিত হয় মহানবী (স.)-এর নেতৃত্বে। তারা বলছেন লং মার্চ মানে দীর্ঘ যাত্রা। তাহলে হযরত মুসা (আঃ) তার পুরা কওম নিয়ে যে নীল নদ পারি দিলেন সেই যাত্রা কে কি বলা হবে ? সেটা ও ত দীর্ঘ যাত্রা ছিল । তাই নয় কি ?
প্রসঙ্গঃ ব্লগার নিয়ে ভ্রান্তি
প্রশ্নঃ ব্লগ কি?
উত্তরঃ 'ব্লগ দিয়া ইন্টারনেট চালায়।'
উত্তরদাতাঃ মতিঝিল শাপলা চত্বরে মাওলানা মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ্।
প্রশ্নঃ ব্লগ কি ?
উত্তরঃ ইন্টারনেটে কোনও 'নাফরমানি' কাজই হচ্ছে 'ব্লগ'।
উত্তরদাতাঃ ময়মনসিংহের জামিয়া মাদ্রাসার দাওরা হাদিসের (স্নাতকোত্তর) শিক্ষার্থী মো. আবদুল কাদের।
প্রশ্নঃ ব্লগ কি ?
উত্তরঃ 'ব্লগ' হচ্ছে বিজাতীয় পশ্চিমা সংস্কৃতি। এটা মুসলমানরা ব্যবহার করে না। ধর্ম অবমাননাকারীরা ব্লগ দিয়ে অপপ্রচার চালায়। এতে যোগ দিয়েছে এ দেশের নাস্তিকরা।
উত্তরদাতাঃ বরিশালের জামিয়া কাছেমুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আলহাজ তাইয়েবুল ইসলাম।
এরা জানে না, ব্লগ কি?? এরা জানে না ব্লগের বানান কিভাবে লিখতে হয়। এরা এদের নেতাদের দ্বারা ভুল পথে পরিচালিত হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মাদ্রাসার ছাত্র ভাইয়েরা, আপনারা আগে জানুন, বুঝুন, তারপর আন্দোলনে নামুন। সতর্ক থাকুন আপনাদেরকে যেন কেউ ব্যবহার না করতে পারে।
প্রসঙ্গঃ মুসলমানের সার্টিফিকেট
৭১ এ উলঙ্গ করে বাঙ্গালীর লিঙ্গ পরীক্ষা করে দেখতো পাকি হায়েনা; খৎনা থাকলেই মুসলমান, নাইলেই "বিধর্মী" অপবাদে গরম গরম ব্রাশফায়ার ! বর্তমান অবস্থা কিন্তু অনেকটা এইরকমই। কাউকে মুনাফিক, কাফির কিংবা নাস্তিক বলার এখতিয়ার হেফাজতে ইসলাম রাখে না। কে মুমিন আর কে কাফির তা নির্ধারণ করবেন স্বয়ং আলাহ তায়ালা। এভাবে তারাই তো ইসলামে ধর্মের অবমাননা করছেন, কিন্তু এই নিয়ে প্রশ্ন তোলার কেউ নেই ! আফসুস...
প্রসঙ্গঃ মহিলা সাংবাদিক মারধর
একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক নাদিয়া শারমিন হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের খবর সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় সমাবেশ থেকে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, 'পুরুষের সমাবেশে নারী সাংবাদিক কেন?' এ নিয়ে নাদিয়ার সঙ্গে সমাবেশকারীদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে নাদিয়া শারমিনকে প্রচণ্ড মারধর করতে করতে সমাবেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আমার বক্তব্যঃ হেফাজতে ইসলাম, আপনারা মাঠে নেমেছেন ইসলামের সেভিওর হিসেবে, তাই না ?? ইসলামে নারীদের সন্মান ও মর্যাদা রক্ষা করার কথা বারবার বলা হয়েছে। এই আপনাদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার নমুনা ?!?
প্রসঙ্গঃ হেফাজতে ইসলামের ইসলাম অবমাননার একটি ভিডিও
ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ), উনার পর আর কোন নবী আসতে পারেন না।
হেফাজতে ইসলাম মহাসচীব মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী এবার নবীদের সাথে তুলনা করলেন হেফাজতে ইসলাম আমীর শফিকে। (নাউজুবিল্লাহ!)
এটা ইসলাম অবমাননা নয় ?!!??
অবশ্যই দেখুন ভিডিওটি।
>>> ভিডিও লিংকঃ https://www.facebook.com/photo.php?v=10152710449440099&set=vb.648840098&type=2&theater
## সরকারের কাছে আমার দাবিঃ
একজন নাস্তিক যখন কোন ধর্মকে মানেনা, সেটা আমার কাছে খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে খুব নিকৃষ্টভাবে আক্রমণই যখন একজন নাস্তিকের কাজ হয়, তখন তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত। ইটজ ভেরি সিম্পল। উগ্র ধর্মবিদ্বেষী আর সাম্প্রদায়িকতার মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
সরকারের কাছে আমার দাবী,
১) উগ্র নাস্তিকদের আইনের আওতায় আনুন, কোন চুনোপুঁটিকে ধরবেন না প্লিজ।
২) উগ্র ধর্মান্ধদেরও আইনের আওতায় আনুন।
৩) ব্লগার মানেই যে নাস্তিক নাহ, তা ক্লেয়ারিফাই করুন বিবৃতি দিয়ে।
উগ্র নাস্তিক এবং উগ্র ধর্মান্ধ > আই হেট বোথ দ্যা ক্লাসেস...!!
সরকারের কাছে আমার দাবী,
১) উগ্র নাস্তিকদের আইনের আওতায় আনুন, কোন চুনোপুঁটিকে ধরবেন না প্লিজ।
২) উগ্র ধর্মান্ধদেরও আইনের আওতায় আনুন।
৩) ব্লগার মানেই যে নাস্তিক নাহ, তা ক্লেয়ারিফাই করুন বিবৃতি দিয়ে।
উগ্র নাস্তিক এবং উগ্র ধর্মান্ধ > আই হেট বোথ দ্যা ক্লাসেস...!!
পরিশেষঃ
আমরা সাধারন মুসলমানরা বিশ্বাস করি আল্লাহর সেই বাণীতে, যেই বাণী বলে একজন মানুষকে হত্যা করা চরম অপরাধ। সে ধার্মিক হোক আর বিধর্মীই হোক। ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয় সকল ধর্মের উপর, সকল মতের উপর শ্রদ্ধাশীল হতে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) বিদায় হজের ভাষণে বলে গিয়েছিলেন, "তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করোনা।"
হেফাজতে ইসলামের যত নেতা-কর্মী আছেন, তাদের সকলেই মাঠে নেমেছেন। তাদের লোকসমাগম দেখে অনেকেই অবাক হলেও আমি কিন্তু হইনি। তবে আশার কথা হচ্ছে দেশে আরও কমপক্ষে ১৫ কোটি মানুষ আছেন যারা এখানে আসেননি, নিশ্চয়ই তারা হেফাজতে ইসলামের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দিহান কিংবা বিপক্ষে। এন্ড টু হেফাজতে ইসলাম, আপনারা আগে এই লংমার্চ থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী তুলুন, আপনাদের বিতর্কিত দাবিগুলো উঠিয়ে ফেলুন দেখবেন আপনাদের মাঝে আমিও মিশে গেছি। ধর্ম আমার রক্তে, মুক্তিযুদ্ধ আমার চেতনায়। এরা কোনভাবেই সাংঘর্ষিক হতে পারেনা !
হেফাজতে ইসলাম সত্যিকারার্থেই ইসলামকে হেফাজত করুক, এই প্রত্যাশায়......
প্রতিদিন রাতে ঘুমাবার আগে ভাবি পরদিন থেকে নতুন আমি হবো!! সাত-পাঁচ ভাববো না,কারো সাথে তর্কে জড়াবো না,শুনে শুধু হজমই করে যাবো, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভিন্ন মতের কারো সাথে কথাই বলবো না। কিন্তু আমি পারি না...পারবোই বা কি করে? ঘুম থেকে উঠেই পত্রিকা হাতে নিলে যখন দেখি আমার জাতীয় স্তম্ভ পদদলিত তখন মনে হয় শহীদ মিনার নয় আমার দেশপ্রেমবোধ পদদলিত হয়েছে। আমার জাতির স্মারক জাতীয় পতাকাকে ভুলূন্ঠিত হতে দেখি যখন, তখন মনে হয় আমার মায়ের শাড়ির আচঁল বিষাক্ত শকুন খামছে ধরে টানাটানি করছে। যখন দেখি আমাদের ঐতিহ্যের স্মারক ভাষ্কর্য ভেংগে ফেলার হুমকি আসে তখন মনে হয় আমার স্বাধীনতার খুটি তারা উপড়ে ফেলতে চাচ্ছে।ধর্মকে ব্যবহার করে অইসব কুলাংগাররা যখন নাস্তিকতা আর আস্তিকতার ফ্যাসাদ তৈরি করে,আল্লাহ আর নবী(সাঃ) এর অবমাননা হচ্ছে বলে যারা ধর্মপ্রান জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায় যার ফলে কখনো কখনো স্বচক্ষেই দেখি অইসব কুলাংগার ভেবে ভুলবশত আমার শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামের স্মারক টুপির অবমাননা থখন মনে হয় আমার শান্তির শ্রেষ্ঠ ধর্মকে তারা প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
(...............) এসবের ভিতর নিজেকে কিভাবে পরিবর্তন করবো???
(...............) এসবের ভিতর নিজেকে কিভাবে পরিবর্তন করবো???
আফগানিস্তান বানানোর প্রথম ধাপ শুরু হলো চট্টগ্রামে , চট্টগ্রাম থেকে এক প্রত্যক্ষদর্শীর মুখেই শুনুন ...
লজ্জা....
লজ্জা....
আমি এই প্রজন্মের এক উন্মাদ !! আমি আগাছা-কুলাংগার-রাজাকার (যারা এই দেশ আগেও চায় নি বর্তমানেও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না) মুক্ত বাংলাদেশ চাই।আমি যতদুর সম্ভব সকল মোলিক অধিকারের প্রাপ্তি চাই। আমি প্রযুক্তিতে উন্নত বাংলা চাই।সর্বোপরি আমি রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ভাবে মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ চাই।
'' জয় বাংলা''
:::::::::::::::::::::: B M Fayezullah Manik
*আমাদের দেশে একশ্রেনীর বুদ্ধিজীবী আছেন যারা শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে নিজেদের বিক্রী করে দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ফরহাদ মজহার একজন। যিনি একজন নাস্তিক, কিন্তু নাস্তিকতার বিপক্ষে আন্দোলনে তার ভুমিকা সবচেয়ে বেশী। যিনি সরাসরি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। এরকম দ্বৈত ভুমিকার মানুষদের মোনাফেক বলা হয়। এই লোক একাধারে নাস্তিক এবং মোনাফেক। আবার তিনিই নাকি ইসলামের সৈনিক। তুমি আমার পক্ষে কথা কইছ তাই তোমাকে ভালবাসি। তুমি 'কে' কোন উদ্দেশ্যে কইছ তাহা জানার দরকার নাই। হেফাজতে ইসলামের নেতারা আসল ঘটনা জেনে লাফান।যদি সত্যিই আপনারা নাস্তিকদের শাস্তি চান সবার আগে এই লোককে ধরেন। সে আপনাদের পাশেই আছে। রাজনীতি করলে রক্ষা নাই। ধর্মের নাম ভাঙ্গাইয়া রাজনীতি করলে জামাতের মত গদাম হবে। এটা বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান না।ফরহাদ মজহারের নাস্তিকতার প্রমাণ চান? এই লেখাটা পড়েন।
"তিলেক হিম্মত নাই, আধা ছটাকের নাই তেজ
সাত আসমানে প্রভু খোদাতা'লা হয়ে বসে আছ"
--- ফরহাদ মজহার (দুনিয়া রেজিষ্ট্রি কর, এবাদতনামা)
এইটা বোঝার ক্ষমতা না থাকলে আত্বহত্যা করেন। আর বুঝে থাকলে হিম্মত দেখান।
কার্টেসিঃ Hasan Mahmud Tipu
"তিলেক হিম্মত নাই, আধা ছটাকের নাই তেজ
সাত আসমানে প্রভু খোদাতা'লা হয়ে বসে আছ"
--- ফরহাদ মজহার (দুনিয়া রেজিষ্ট্রি কর, এবাদতনামা)
এইটা বোঝার ক্ষমতা না থাকলে আত্বহত্যা করেন। আর বুঝে থাকলে হিম্মত দেখান।
কার্টেসিঃ Hasan Mahmud Tipu
- আগামীকাল ৯ই এপ্রিল বিকাল ৪ টায়, শাহবাগে হামলার চেষ্টা এবং মতিঝিলে নারী সাংবাদিককে মারধরের প্রতিবাদে প্রতীকী লাঠিমিছিল করবে গণজাগরণ মঞ্চ।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট হরতালের ডাক দেয়ায় মঙ্গলবার ও বুধবারের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিগুলো স্থগিত করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। তার পরিবর্তে এই নতুন কর্মসূচী পালিত হবে।
অহিংস আন্দোলন আমাদের চেতনায়, কিন্তু জেনে রেখো "শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি"।
জয় বাংলা।