কেলেন্কারি কম পড়িয়াছে?
நிகழ்நேரப் பதிவு: ஜெ. சொத்துக் குவிப்பு வழக்கின் தீர்ப்பு
আমরা সংবিধান মানি,আইন আইনের পথে চলুক,তবু তামিলনাডুর ভাবাবেগকে সম্মান করি
সেই সাপ জ্যান্ত
গোটা দুই আন্ত !
তেড়ে মেরে ডাণ্ডা
ক'রে দিই ঠাণ্ডা!
আম্মা গ্যাছেন জেলে,
দিদি,রাঘব বোয়াল রান্না হবে কিসে
তেলে নাকি বিনি তেলে
পলাশ বিশ্বাস
আমরা সংবিধান মানি,আইন আইনের পথে চলুক,তবু তামিলনাডুর ভাবাবেগকে সম্মান করি
বাবু রাম সাপুড়ে
সুকুমার রায়
বাবুরাম সাপুড়ে,
কোথা যাস্ বাপুরে ?
আয় বাবা দেখে যা,
দুটো সাপ রেখে যা—
যে সাপের চোখ্ নেই,
শিং নেই, নোখ্ নেই,
ছোটে না কি হাঁটে না,
কাউকে যে কাটে না,
করে নাকো ফোঁস্ ফাঁস্,
মারে নাকো ঢুঁশ্ঢাঁশ,
নেই কোনো উৎপাত,
খায় শুধু দুধ ভাত,
সেই সাপ জ্যান্ত
গোটা দুই আন্ত !
তেড়ে মেরে ডাণ্ডা
ক'রে দিই ঠাণ্ডা!
ভুলে যাবেন না,কেঁচো খুঁড়তে কাল কেউটে,সারদা কেলেন্কারিতে যতই জড়াচ্ছে শাসকদল,ততই বাড়ছে তৃণমুলে যোগদান,মীডিযা থেকে যুবসমাজ!
দুর্নীতির দুর্বার আকর্ষণ হাহুতাশ হাঘরে বাংলায়-ছিঃছিঃ ছিঃ!
এপার বাংলায় সারদায় বড় বড় তাবড় উজ্জ্বল ছবি! মন্ত্রী, সান্ত্রী, সাংসদ ,নেতা,পক্ষ বিপক্ষ,রং বেরং - তো কেয়া বাত,উজ্জবলতম নক্ষত্রের সমারোহ !
উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। এবার ইস্যু সারদা-কাণ্ড। এই ইস্যু নিয়ে এখন তোলপাড় হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে। বিরোধী দলের প্রতিবাদ, মিছিল, সমাবেশে জেরবার হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় এই ইস্যু নিয়ে বিরোধী বাম দল ইতিমধ্যে কতবার যে বিধানসভার অধিবেশন বয়কট করেছে।
গুরুচন্ডালি কহে,সাধু সাবধান!
সারদা + (তৃণো/সিপিএম) নিয়ে নিউজপ্রিন্ট খচ্চা হয়েছে এই কেলেন্কারি বেরোনোর পরে। তার আগে তো কাউকে নিয়েই আলোচনা হয়নি। কোথা থেকে ব্যপারটার সূচনা হোলো, সেটা একটু ভেবে দেখতে হবে না কমরেড?
ভুলে যাবেন না,সিবিআই হলেই শাস্তি কিন্তু হামেশা হয় না- যেমন বফর্স, কমনওয়েল্থ,গুচ্ছের প্রতিরক্ষা কেলেন্কারি,সুইস ব্যান্কে টাকা, বেহিসেবি আয়,আইপিএল কেসিনো,টেলিকাম,কয়লা কত কেলেন্কারিই না হল,দোষীদের সাজা নৈব নৈব চ। ..
সব চোরই সাধু ,মহাজন,যতক্ষম না ধরে পড়ে।
সব দেব দেবিরা,এমনকি স্বয়ং ইশ্বরও ধোয়া তুলসীপাতা নয়।
তাঁরা যতই না কেলো কেলেন্কারি করেন,ভক্তকুলের চোখে তাহা সর্বদাই লীলা খেলা।
হত্যে দিয়ে পড়ে থাকলে মাল মশলা জুটবে মেলা।
আমরা শালা,অভদ্র জাত কুজাত আম জন সাধারণ।
যাহাই করি ,সবই কেলো,তারপ সশুধু ক্যালানি।
আম্মার কেলেন্কারিতে ইউথাল পাথাল সারা দেশ,এই বাংলাও উথাল পাথাল,তবে কি
বাংলায় কি কেলেন্কারি কম পড়িয়াছে?
কাল সকালে লিখেছিলাম
Ambedkar Action Alert
ambedkaractions.blogspot.in
রাঘব বোয়াল রান্না হবে কিসে ও দিদি, তেলে না বিনা তেলে கடைசியாக ஜெயலலிதா தண்டிக்கப்பட்டார். இந்த வழக்கின் தீர்ப்பு குறித்து ஆம் ஆத்மி கட்சி மகிழ்ச்சியை தெரிவித்துக்கொள்கிறது. எவ்வளவோ தடைகளை தாண்டி தாமதமாக…
চার বছর কারাবাস, জরিমানা ১০০ কোটি
আনন্দবাজারে পড়ুনঃআঠারো বছরের পুরনো দুর্নীতির ভূত। সেই ভূতের ঢিলেই শনিবারের বারবেলায় কাত আম্মার প্রবলপ্রতাপ! দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত চার বছরের মেয়াদে জেলেই যেতে হল ৬৬ বছরের জয়ারাম জয়ললিতাকে। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কেউ মুখ্যমন্ত্রীর তখ্ত থেকে সোজা চললেন জেলে। আর পরিণামে ফের টলে গেল দ্রাবিড় রাজনীতি।
আত্মাহুতির চেষ্টা, উত্তাল তামিলনাড়ু
বিষয়টা অনেকেরই জানা। বিশেষত সংসদ-ভবনে যাঁদের নিত্য যাতায়াত, তাঁরা প্রত্যেকেই জানেন এডিএমকের সাংসদরা দলনেত্রী জয়ললিতার ছবি পকেটে নিয়ে সংসদে আসেন। দলে ঠিক এতটাই গুরুত্ব জয়ার। সেই তাঁরই জেল? এর পর যে দলের সদস্য-সমর্থকরা তামিলনাড়ুতে তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখাবেন, এটাই তো প্রত্যাশিত। হলও তাই।
উৎকণ্ঠায় বুক ধড়ফড়, মদন ফের হাসপাতালে
শ্বাসকষ্ট, অম্বল, অনিদ্রা, বুক ধড়ফড় ও পেট ফুলে যাওয়া। এই সব উপসর্গ নিয়ে শনিবার দুপুরে ফের কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মদন মিত্র। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান ‘প্যানিক অ্যাটাক’ হয়েছে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীর। তবে আপাতত তাঁর হৃদযন্ত্র একেবারে ঠিকঠাক কাজ করছে। চিকিৎসকেরা দেখেছেন, মন্ত্রীর রক্তচাপ ১৭০/৯০। নাড়ির গতি ৯০ থেকে ৯৫ এর মধ্যে।
জবাব এল তামিলনাটু থেকে,ভদ্রলোক চেন্নাই হাইকোর্টে উকীল
Rama lingam In politics, we choose between bad, worse and worst categories.If she can be classified into the bad category,there are a number of worst giants in Tamil Nadu.Comparing with them she is only a pigmy.We, Tamil Nadu people that is why overwhelmingly supported her in preference to others. less19h ago
একটু তলিয়ে ভাবুন
আমরা সংবিধান মানি,আইন আইনের পথে চলুক,তবু তামিলনাডুর ভাবাবেগকে সম্মান করি
দুর্নীতির দায়ে চার বছরের কারাদণ্ড হয়েছে ভারতের তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার। তাকে ১০০ কোটি রুপি জরিমানাও করেছে আদালত।
যত চোর জোচ্চোর তোলাবাজ সিন্ডিকেট রং বেরং তাঁরা সবাই যাক তিহাড় জেলে
আমরা সুশীল নই,পাওনা গন্ডা হরেক রকম বুঝে নেওয়ার মওকা নেই,তাই ভারতীয় সংবিধান মেনে চলি,মেনে চলি আইনের শাসন,আস্থা রাখি ন্যায় ব্যবস্থায়
দাগি মাল যেখানে যেমন যত যেভাবে আছে,যত শীগগির তুলে ফেলা হোক যথাস্থানে,অভদ্র যেহেতু আমরা নিকোনো উঠোনে উত্সবের আয়োজনে আস্থা যার যেমন তেমনি করে সে তেমন ভাবে বাঁচুক স্বমহিমায়,ক্ষতি না করে কারো
কাল রাতে হেব্ভি ভোগান্তি হল,শিরদাঁড়া সোজা করে কম্পু পিসির দারবারে হাজির হতে বেশ দেরি হল,মাফ করবেন বন্ধুরা,কথামত তৈল মত্স প্রকরণ খোলসা করে বলা হয়নি এখনো,যদিও ওয়াদা করেছিলাম সব খোলসা করব গভীর রাতে
অফিসে যেতে ওষ্ঠাগত প্রাণ যেহেতু দ্বতীযাতেই দিদি চক্ষুদান করতে লেগেছেন এবং তাঁর আইনরক্ষক বাহিনী পথে ঘাটে হাইওয়ে মহানগরে উপনগরিতে জেলা শহরে শিল্পান্চলে বোনাস বিনে বউয়ের জামদানি উসুল করতে লেগেছেন মোড়ে মোড়ে
সোদপুরে স্টেশান রোডে বাইক রাস্তার মাঝে দাঁড় করিয়ে চলছে পুজোর বিকি কেনা,পুলিশ সঙ হয়ে যথারীতি দাঁড়িয়ে এবং লরি সামনে পড়লেই যথারীতি হাত বাড়িয়ে ভিক্ষাম্ দেহি,গাড়ী ঘোড়া স্টেচু ,পবাসের ধাক্কায় মস্তানির বাঁজখাই গলা
ডানলপে মানকচু একখানি জবর টাঙিয়ে রাখা হয়েছে,কিন্তু ঘোড়ার কচু কিচ্ছু বদলায়নি,লরি উসুলীতে আধ ঘন্টা ত বাসে বিরিয়ানি হতেই হয়
দক্ষিণেশ্বরে মা সারদার দরবারেও কাহিনী একই
বালি হল্ট পেরিয়ে,কোনাতে পড়তে না পড়তে নাভিশ্বাস
প্রেত নগরি কোলকাতা পশ্চিম সেলিমের গোরস্থানের ঠিক সামনে বাসের মধ্যে বসে কেটে গেল ডেঢ় ঘন্টা,তিন তিনবার বাস থেকে নামে জনসমক্ষে প্রস্রাব করে তবে নিশ্চিন্ত,অফিসে আঙুল ছোঁয়াতে ছোঁয়াতে বেজে গেল দশটা
কিসা বা রামকাহিনী একই,মামুদের আবদার এবং উত্সবের সাইড এফেক্ট,হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন সকলেই,আমোদে প্রমোদে কয়েকটা দিন,তাই মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে
আম্মা কাহিনীর মুখবন্ধে একথা শুনতে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে না কিন্তু ঘটনা হল দু্রনীতি গা সওয়া হয়ে গ্যাছে,বরং দুর্নীতি না হলে উত্সব হয়ই না,পুজো আয়োজনে যে ঢালাও তিন মযের আয়োজন,তাহাও কি সফেদ,যেমনি কেকেআর বা পুটবল ক্লাব আছে যত যেখানে,তাঁদের হিসেব কি মিলবে কোনোখানে,কেঁচো খুঁড়লেই কেউটে সাপ,তাই বাবুরাম সাপুড়ের বড়ই প্রয়োজন,প্রয়োজন ডান্ডারও
সেই সাপ জ্যান্ত
গোটা দুই আন্ত !
তেড়ে মেরে ডাণ্ডা
ক'রে দিই ঠাণ্ডা!
সব মামুদের ডিউটি এক্ষুনি জঙ্গল মহলে হোক্ বা সুন্দরবনে ব্যাঘ্র বাঁচাও অভিযানে তাঁদের নিয়োগ করা হোক,তাহলেই রাস্তা ঘাট পরিস্কার হয়
কিন্তু সংবিধানে আঠারো বছর লেগে যায় একটি মামলার নিস্পত্তি করতে করতে
যাকে নির্বাচনের আগে,বলা হচ্ছিল চোর,জোচ্চোর,তিনি এখন সাধু,ইম্ময়ুন তাঁকে পুছতাছ করা যাবোনি
যে জামাইবাবুকে নিয়ে এতই হল ঘাঁচাঘাটি,তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ওয়াপস
কয়লা কেলেন্কারিতে যারা বদের হাঁডি,সব ব্যাটাই খালাস
আবার নিলামি হবে,আবার কাট মনি হবে
মাঝখানে কয়লা আমদানি,বিদ্যুত হয়রানি ,আবার তাতেও কেলেন্কারি
তবু চাই,দাগি যে যত আছে যেখানে,সবাইকে প্রকাশ্যে শুলিতে চড়ানো হোক,নেহরু বলে ছিলেন স্বাধীন ভারতে কালো বাজারিদের নাকি ল্যাম্পপোস্টে ঝোলানো হবে
আম্মা জেলে লেকিন করুনানিধি সন্তান সন্ততি সহ ফাঁকে নিমজ্জিত আছেন আরো বেশি করে আবার তাঁদের সঙ্গেই ঝিন ছাক সফেদের মাখামাখি সবচেয়ে বেশি, যারা সমর্থন করেছেন,করছেন,তাঁদের মধ্যে কে কত বড় চোর জোচ্চোর,বসে আঁকো এক্ষুনেধাঁচের প্রতিযোগিতা হলে,চক্ষু কর্মের বিবাদ ক্ষ্যান্ত হয়
শুধু মনে করুণ,ধারা যাক্ বাংলাতে সারদামায়ের আশ্রমের আবাসিক যে রাঘব বোয়ালরা ,তাঁদের তেলে বা বিনা তেলের রান্নার আয়োজল হলে মায়ের ভোগে লাগবে কতটা,কতটা সোয়াদ বোঝা যাবে আর কতটা র্পবল হবে ভাবাবেগ
এই অবস্থান থেকে তামিলানাডুর ভাবাবেগকে সমামান না করাটাই ভুল
দেখব,মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কি দাঁড়ায়,ভারতীয় কৃষক সমাজ,কৃষি আজীবিকা ও কৃষিকে যিনি নেহরু জমানাতে এক হাতেই ধ্বংস করেছেন,তিনিই এখন মহারাষ্ট্র কুরুক্ষেত্রে ভীস্ম পিতামহ,তাঁর কন্টক শজ্জায় জলপানের কি ব্যবস্থা হয়,সেডা আগে দেখি
সবার আগে দেখতে হবে এই বঙ্গে সিবিআঈয়ের দৌড়,কতটা দৌড়ায়,কতটা মোতে,কতটা চ্যানেল,কতটা প্রেস ,তারপরই জেলে ধরে ধরে পোরা কতজন,কাকে ধরা আর কাকেই বা ছাড়া
তারপরই না বুঝব কত ধানে কত চাল
অরবিন্দ সিং চৌহানের পর সারদাকাণ্ডে এবার তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেন আসিফ খানও। আজকের কলম পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদকের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি, নিজাম প্যালেসে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। বিস্ফোরক এই কথা বলে ভয়ও পাচ্ছেন আসিফ। জানিয়েছেন, প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন তিনি।সারদাকাণ্ডে জামিন পাওয়ার পরই বোমা ফাটান সারদার আধিকারিক অরবিন্দ সিং চৌহান।
অরবিন্দ সিংয়ের মতো একই বক্তব্য প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খানের। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তাঁর বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি, গত বছরের পাঁচ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সুদীপ্ত সেন।
ছয় এপ্রিল সিবিআইকে লেখা সুদীপ্ত সেনের চিঠি নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন আজকের কলম পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক। একশো একাশি নম্বর সাউথ অ্যাভিনিউ, এই ঠিকানার বাড়িতে মুকুল রায়ের কাছে ওই চিঠিটি দেখেছিলেন বলে দাবি করেন আসিফ খান।
শুধু বিস্ফোরক মন্তব্য করেই থেমে থাকেননি আসিফ। এই মন্তব্য করার পর প্রাণনাশের আশঙ্কাও করছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ওয়াইদুল্লা রহমান আসিফ খানের বিরুদ্ধে কুড়ি কোটি টাকার একটি প্রতারণা মামলা করেন। সেই মামলার সূত্রেই শুক্রবার বিধাননগর কমিশনারেট আসিফ খানকে তলব করে। যদিও আসিফ খান ইতিমধ্যেই এই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন।
শ্যামল সেন কমিশনে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। আর সেখান থেকেই গ্রেফতার হলেন এমপিএস কর্ণধার প্রমথনাথ মান্না। গ্রেফতার তাঁর সঙ্গে আসা ডিরেক্টর প্রবীর চন্দও। দুজনের নামেই এফআইআর রয়েছে বাঁকুড়া সদর থানায়। দুজনকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস।
আগামিকাল বাঁকুড়ায় নিয়ে গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস।পুলিসের নজরে ছিলেন। সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পরই কালো তালিকায় চলে আসে এমপিএস। আর্থিক তছরুপ, প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে কর্ণধার প্রমথনাথ মান্নার বিরুদ্ধে। তিনি এবং এমপিএসের ডিরেক্টর প্রবীর চন্দর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় বাঁকুড়া সদর থানায়। তদন্ত শুরু করে পুলিস। প্রমথনাথ মান্নার বাড়িতেও হানা দেয় পুলিস। তার পর থেকেই পুলিসের খাতায় পলাতক প্রমথনাথ মান্না এবং প্রবীর চন্দ। শুক্রবার শ্যামল সেন কমিশনে হাজিরা দিতে এসেছিলেন ওই দুজন। শ্যামল সেন কমিশনে আটক করা হয় তাঁদের। খবর দেওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। তাঁদের গ্রেফতার করে
শ্যামল সেন কমিশনের নির্দেশে এমপিএস গোষ্ঠীর কর্ণধার প্রমথনাথ মান্না এবং সংস্থার ডিরেক্টর প্রবীর চন্দকে গ্রেফতার করল হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস। আজ শ্যামল সেন কমিশনে হাজিরা দেন ওই দুজন। দুজনের নামেই এফআইআর রয়েছে বাঁকুড়া সদর থানায়। ওই থানার পুলিসের রেকর্ডে আত্মগোপনকারী এমপিএসের কর্ণধার ও ডিরেক্টর। সেকারণেই আজ শ্যামল সেন কমিশনে আসার পর ওই দুজনকে গ্রেফতার করার জন্য হেয়ার স্ট্রিট থানাকে নির্দেশ দেয় কমিশন। পরে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস। কালই ওই দুজনকে হেফাজতে নেবে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস। ওই দুজনের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপ, প্রতারণা ওঅপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আজকালের প্রতিবেদন: তামিলনাড়ুর পথে এগোচ্ছে বাংলা৷ রাজ্য সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা শেষ হয়ে গেছে৷ দুর্নীতি গ্রাস করেছে সরকারকে৷ শনিবার এই মম্তব্য করেছেন বি জে পি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা৷ এদিন দলের রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি৷ দুর্নীতির অভিযোগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ৪ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত৷ এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাহুলবাবুর প্রতিক্রিয়া, এ রাজ্যের সরকার ২০১৬ পর্যম্ত চলবে কি না, প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে৷ সরকারকে দুর্নীতি, ব্যভিচার, স্বেচ্ছাচারিতা গ্রাস করেছে৷ নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ির মতো৷ নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চলতে থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে বাধ্য৷ সারদা কর্মকাণ্ডের ছোঁয়া সরকারের উঁচু স্তর পর্যম্ত পৌঁছে গেছে৷ দুর্নীতির শিকড় অনেক নিচে৷ ওপর থেকে নিচ পর্যম্ত সাফাই হবে৷ দেখতে পাচ্ছি তামিলনাড়ুর পথে এগোচ্ছে বাংলা৷ সাংসদ কুণাল ঘোষ, তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা আসিফ খান এবং সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের গাড়িচালক অরবিন্দ চৌহানের প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন রাহুলবাবু৷ ওই তিনজনের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য বি জে পি৷ রাজ্য সরকারকেও একই দাবি জানিয়েছে৷ এদিন রাহুলবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন বি জে পি তাঁদের দল ও সরকারকে নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে৷ কিন্তু তিনি একটি শব্দও দেখান যা বি জে পি তৈরি করেছে৷ এক চিটফান্ড কর্তা দাবি করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারেন৷ কিন্তু তা অস্বীকার করছেন কেন? এই রহস্য সরকারের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে৷ কুণাল ঘোষ, সুদীপ্ত সেনের গাড়িচালক অরবিন্দ চৌহান, আসিফ খান সারদা-কাণ্ড নিয়ে কিছু মম্তব্য করেছেন৷ রাহুলবাবুর দাবি, যে কোনও মুহূর্তে অঘটন ঘটতে পারে৷ কারণ, ওই তিনজন সারদা-কাণ্ডের নায়কদের চিহ্নিত করতে তথ্য জোগাড় করতে পারেন, দিচ্ছেনও৷ সরকার তাদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করুক৷ তাদের প্রাণসংশয় হতে পারে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে একই দাবিতে চিঠি দিচ্ছি৷ পুজোয় রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাহুলবাবু৷ দুর্গোৎসবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করেছেন রাজ্য সরকারের কাছে৷ তাঁর তির্যক মম্তব্য, সরকার সারদা-কাণ্ড, আদালত থেকে বাঁচবে না মানুষকে সুরক্ষা দেবে৷ পুজোয় রাজ্য জুড়ে স্টল দেবে বি জে পি৷ রাজ্যে ৫ রকমের মোট ৩৭০০টি স্টল দিচ্ছে বি জে পি৷ কলকাতায় ৪৮০টি৷ রাহুলবাবু বলেন, পুজোয় রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন৷ ভালভাবে পুজো কাটান৷ সবার পুজো ভাল কাটুক৷ তাঁর সংযোজন, পুজোয় ৫ রকমের স্টল দেবে বি জে পি৷ থাকবে বইয়ের স্টল৷ দলের পত্রপত্রিকা মিলবে৷ বি জে পি সম্পর্কে মানুষকে জানাতে আরও সুবিধা হবে৷ থাকবে দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র, জলসত্র ও তথ্য অনুসন্ধান কেন্দ্র৷ অনেক মানুষ কলকাতায় পুজো দেখতে আসেন৷ তাঁদের সাহায্য করতেই তথ্য অনুসন্ধান কেন্দ্র৷ গত বছর প্রায় ১৮০০টি স্টল দিয়েছিল বি জে পি৷ এদিন রাহুলবাবুর উপস্হিতিতে বি জে পি-তে যোগ দিলেন পণ্ডিত সুভাষ সিংহরায়৷
আজকালের প্রতিবেদন,যজ্ঞেশ্বর জানা: বাম আমলে ১০০টি চিটফান্ড সংস্হার মালিকের বিরুদ্ধে আইন করে ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছিল৷ এই সরকার তা না করে লুটেরাদের পোয়াবারো করতে তদম্তের বাগড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে৷ শনিবার বিকেলে ভগবানপুরে ডি ওয়াই এফ আইয়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির ১৮তম জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে এই মম্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ডাঃ সূর্যকাম্ত মিশ্র৷ তিনি বলেন, ৩৪ বছরের বাম-শাসন থেকে তিন বছর চার মাসের পরিবর্তনের আমলে কোনও বাম নেতা কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকলে প্রশাসন তাঁর শাস্তির ব্যবস্হা করবে৷ কিন্তু তার আগে দলও তাঁকে শাস্তি দেবে৷ এটা আমরা প্রকাশ্যে বলছি৷ কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর এই সৎসাহস কিংবা হিম্মত নেই৷ কারণ, তাঁর দলের সকলেই এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত৷ আর এই ঠগদের চিহ্নিত করতে হলে গাঁ অর্থাৎ পুরো তৃণমূল দলটাই উজাড় হয়ে যাবে৷ মুখ্যমন্ত্রীর সততার প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন তিনি সারদা-কাণ্ডের কিছুই জানেন না৷ সারদার সুদীপ্ত সেনকে তিনি চেনেন না৷ সংবাদ মাধ্যমে গত নববর্ষের দিন ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন৷ তাহলে রাতের অন্ধকারে দার্জিলিঙের ডেলো বাংলোতে কার সঙ্গে গোপন আঁতাত করতেন তিনি? আসলে মুখ্যমন্ত্রীর স্বার্থ ফুরোলে সবাই তাঁর অচেনা৷ যেমন কিষেণজিকে করেছেন৷ একই ভাবে কংগ্রেস, এস ইউ সি আইয়ের সঙ্গেও সওদার রাজনীতি করে তাদেরও দূরে ঠেলে দিয়েছেন৷ আর এখন সারদা লুট শেষ হতেই সারদার সুদীপ্ত অপরিচিত তাঁর কাছে৷ কিন্তু, এই মুখের কথা আর মানা যাবে না৷ দিন যতই যাচ্ছে সব সত্যই ফাঁস হচ্ছে৷ আর এর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সি বি আইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি৷ রাজ্যের পাশাপাশি সূর্যকাম্তবাবু এদিন সরব হন কেন্দ্রের মোদি সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে৷ তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতায় এসে রেল বাজেটের আগেই রেলের ভাড়া ও পণ্য মাশুল বৃদ্ধি করে প্রথম ভালর চমক দিয়েছে মোদি সরকার৷ যা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন দেশের মানুষ৷ আর এর ফলেই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে দিল্লির সরকার৷ যার নমুনা সম্প্রতি তামিলনাড়ু, রাজস্হান ও উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনে বি জে পি-র বিপুল পরাজয়৷ এদিনের এই প্রকাশ্য সমাবেশে সূর্যকাম্ত মিশ্র ছাড়া বক্তা ছিলেন প্রাক্তন সর্বভারতীয় যুব-নেতা তাপস সিনহা, বর্তমান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখার্জি, সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক জামির মোল্লা, সভাপতি সায়নদীপ মিত্র৷ উপস্হিত ছিলেন সি পি এমের জেলা সম্পাদক প্রশাম্ত পাত্র, নির্মল জানা, জেলা যুব-র সম্পাদক প্রলয় দাস সহ অন্যরা৷ প্রকাশ্য সমাবেশের আগে এদিন সকালে সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির দু’দিনের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখার্জি৷ সাংগঠনিক রণকৌশল-সহ আগামী দিনের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনার মাধ্যমে রবিবার শেষ হবে এই সম্মেলন৷
মোদীর রক কনসার্ট
রাজনীতির মঞ্চে বহুবার বক্তব্য রেখেছেন। খুব মেপে কথা বলেন। যে সব সাংবাদিকরা লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর সানিদ্ধে এসেছিলেন, তাঁরা বলেন সামাবেশে বক্তব্য রাখার রিতিমত তালিম চলত তাঁর বাড়িতে। কিন্তু এই মঞ্চে তিনি নেহাতই নবাগত। তাই একটু বুক ধরপর করছিল হয়তো...
২৪ ঘণ্টা সমাজসেবী সংঘের পুজো উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
বালিগঞ্জে ২৪ ঘণ্টা সমাজসেবী সংঘের পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুরকার রাহুলদেব বর্মণকে শ্রদ্ধা জানাতে শিল্পীর ৭৫তম জন্মবার্ষিকীতে সুরকেই থিম হিসাবে বেছে নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এই পুজো এবার ৬৮ বছরে পা দিল।
সারদা কেলেঙ্কারির মামলা নিয়ে আবার উত্তাল পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে সারদা মালিক সুদীপ্ত সেনের গোপন বৈঠকের কথা জানালেন তার গাড়ির চালক অরবিন্দ সিং চৌহান।
মঙ্গলবার জেল থেকে বের হয়ে অরবিন্দ এ তথ্য দেন।
অরবিন্দ জানান, কলকাতা ছেড়ে পালাবার আগে নিজাম প্যালেসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং ভারতের সাবেক রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সারদা মালিক সুদীপ্ত সেন।
তিনি জানান, ঠিক তার দু’দিন পর রাতে কলকাতার মিডল্যান্ড পার্কের সারদা গোষ্ঠীর প্রধান অফিসে যান আরেক তৃণমূল সংসদ সদস্য শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক তার পরের দিনই কলকাতা ছাড়েন সুদীপ্ত।
জানা যায়, ইতোমধ্যেই জেরার মুখে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক সংসদ সদস্য-নেতা-মন্ত্রী। এ পরিস্থিতিতে জেল থেকে বেরিয়ে এমন তথ্য দেন অরবিন্দ।
তার দাবি, তিনিই সুদীপ্ত সেনকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই বৈঠক হয় মুকুল রায়ের সঙ্গে।
এর আগে, একই ধরনের কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বহিস্কৃত হওয়া সংসদ সদস্য তথা সারদা মিডিয়া গোষ্ঠীর সিইও কুণাল ঘোষ।
এছাড়া, প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপির সারদা কেলেঙ্কারি মামলায় পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে ভারতের বাইরে মৌলবাদী শক্তিদের হাতে অর্থ পৌঁছানোর অভিযোগ ওঠে।
অরবিন্দর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুকুল রায়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তৃণমূল সংসদ সদস্য শুভেন্দু অধিকারী এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
আজকালের প্রতেবেদনঃসারদা গোষ্ঠীর পর এবার এম পি এস এবং আকাশদীপ প্রজে’ লিমিটেডের বিরুদ্ধে তদম্ত শুরু করল সি বি আই৷ ওই সংস্হা দুটির কর্তাদের হেফাজতে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে আমানতকারীদের প্রতারিত করা হয়েছে৷ শনিবার ওই দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এফ আই আর করে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা শুরু করে সি বি আই৷ অন্যদিকে এম পি এসের কর্ণধার প্রমথনাথ মান্না ও ডিরেক্টর প্রবীর চন্দ্রকে বাঁকুড়া আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (থার্ড কোর্ট) তনুশ্রী দত্তের এজলাসে তোলা হয়৷ দুটি মামলার একটিতে ৩২ দিনের জন্য জেল হাজত হয়৷ অন্য মামলাটিতে তাঁদের দুজনকে তিন দিনের পুলিস হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক৷ তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, তছরূপ ও পরিকল্পিত চক্রাম্তের অভিযোগ করেছেন আমানতকারী ও এজেন্টরা৷ এদিন সকালে তাঁদের কলকাতা থেকে বাঁকুড়া থানায় আনা হন৷ থানাতে পৌঁছনোর কিছুক্ষণ পরেই দলে দলে আমানতকারী ও এজেন্টরা জড়ো হন৷ বিক্ষোভও দেখান৷ দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ এম পি এস কর্ণধার বিচারককে কোনও কথা বলেননি৷ তাঁর পক্ষের আইনজীবী তাঁদের দুজনের যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন করেন৷ বিচারক ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল দায়ের করা একটি মামলায় তাঁদের দুজনকে ৩২ দিনের জন্য জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷ ওই মামলায় তাঁদের ২৯ অক্টোবর হাজির করার নির্দেশ দেন তিনি৷ দ্বিতীয় মামলায় (নং) ১৫৮৷১৪, তারিখ ১৪.৪.১৪- বিচারক তিনদিনের জন্য পুলিস হেফাজতে পাঠান৷ তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন কোতুলপুরের সঞ্চয় মণ্ডল ও জয়পুরের সলদা গ্রামের শ্যামসুন্দর অধিকারী এবং আরও ৫ জন আমানতকারী৷ এঁরা হলেন রাজেন্দ্র চ্যাটার্জি, মুকুন্দ নন্দী, বিশ্বজিৎ দে ও মধুসূদন মণ্ডল৷ মধুসূদনবাবু জানান, তাঁরা এই দু’জন ছাড়াও ওই সংস্হার আরও ৬ জন ডিরেক্টর ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন৷ এঁরা হলেন ডিরেক্টর শাম্তনু চৌধুরি, মধুসূদন অধিকারী, সুব্রত বসু, নিরঞ্জন চ্যাটার্জি ও অমিয় ব্যানার্জি এবং বাঁকুড়ার শাখা ম্যানেজার অঞ্জন উপাধ্যায়৷ তিনি জানান, বাঁকুড়ার নতুন চারটি অফিস বছর তিনেক চালু ছিল৷ গত জুন থেকে তা বন্ধ৷ এই জেলা থেকে এম পি এস প্রায় ৭০-৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল৷ এম পি এসের রাজ্যে আমানতকারীর সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ৷ এই জেলায় ১৫০০-১৮০০ জন৷ নিজে লগ্নি করেছিলেন ৪০ লক্ষ টাকা৷ এ ছাড়াও আমানতকারীদের থেকে তুলে জমা দিয়েছেন প্রায় দেড় কোটি৷ দ্বিতীয় মামলাটি করেছেন জয়পুরের সলদা গ্রামের শ্যামসুন্দর অধিকারী৷ তিনি জানান, তাঁর নেতৃত্বাধীন টিম জমা দিয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা৷ নিজেরও যা ছিল লোভে পড়ে লগ্নি করেছিলেন৷ তাঁর অধীনে কাজ করতেন প্রায় ৫০০ এজেন্ট৷ তিনি জানান, ২০১৩-র এপ্রিল থেকে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া বন্ধ করে দেয় এম পি এস৷ তাঁরা বহুবার আবেদন-নিবেদন করেও কোনও ফল হয়নি৷ তখন তাঁরা গত সেপ্টেম্বরে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে নালিশ করেন৷ গত ২৯ জানুয়ারি মাসে দু’পক্ষের আইনজীবীরা উপস্হিত থেকে মীমাংসা হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে৷ কিন্তু সেই চুক্তিও তাঁরা অমান্য করেন৷ তখন তাঁরা প্রথম বাঁকুড়া থানায় এফ আই আর করেন ১ এপ্রিল৷ তারপর থেকেই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছিলেন৷ শুক্রবার শ্যামল সেন কমিশনে সাক্ষ্য দিতে এলে জেলার কয়েকজন এজেন্ট সেখানে উপস্হিত ছিলেন৷ তাঁরা প্রমথনাথ মান্না ও প্রবীর চন্দ্রকে দেখতে পেয়ে কমিশনকে সব জানান৷ এর পরই কমিশনের নির্দেশে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানা তাঁদের দুজনকে আটক করে বাঁকুড়ার এস পি-কে খবর দেন৷ রাত দুটোয় তাঁদের দুজনকে আনতে জেলা পুলিসের একটি দল কলকাতায় পৌঁছয়৷ এদিন সকালে থানায় পৌঁছনোর পরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়৷ অন্যদিকে জানা গেছে, আকাশদীপ প্রজে’ লিমিটেড বারুইপুরের ব্যবসা শুরু করে৷ ২০০৯ সাল থেকে গোষ্ঠী টাকা তুলতে শুরু করে৷ পরে তা রাজ্যের বিভিন্ন প্রাম্তে ছড়িয়ে পড়ে৷ এই গোষ্ঠীর তিনজন ডিরেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বলে সি বি আই সূত্রে খবর৷ সারদা গোষ্ঠীর পর এ রাজ্যে এই প্রথম দুটি অর্থলগ্নিকারী সংস্হার বিরুদ্ধে তদম্ত শুরু করল৷ এ পর্যম্ত চিটফান্ড তদম্তে সি বি আই মোট ৫০টি এফ আই আর করল৷ তার মধ্যে ওড়িশায় ৪৪ এবং ৬টি পশ্চিমবঙ্গে৷ এই ছ’টির মধ্যে ৪টি সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে৷ বাকি দুটি এম পি এস এবং আকাশদীপ প্রজে’ লিমিটেডের নামে৷
বহরহাল
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ কোটি ডলারের অবৈধ সম্পদ রাখায় ১৮ বছর আগের একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে শনিবার আদালতের এই রায় আসে।
রায়ের ফলে কারাভোগের পাশাপাশি জয়ললিতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
এদিকে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় তামিলনাড়ুর বিভিন্ন স্থানে জয়ললিতার দল এডিএমকে বিক্ষোভ শুরু করেছে বলে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
জয়ললিতার দল ও ডিএমকের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের পর তামিলনাড়ুতে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। রায়ের পর তার সমর্থকরা ডিএমকের প্রধান এম করুনানিধির চেন্নাইয়ের বাসভবনে ঢিল ছুড়ে।
শুনানি উপলক্ষে সকালে চেন্নাই থেকে ব্যাঙ্গালুরু যান জয়ললিতা। সেখানে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত একটি বিশেষ আদালতে রায় দেওয়া হয়।
১৮ বছর আগে ললিতার অবৈধ সম্পদ রয়েছে অভিযোগ তুলে মামলাটি করেছিলেন বর্তমানের বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী। পরে জয়ললিতার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ডিএমকে ক্ষমতায় এলে এই মামলা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। আদালতের রায়ে জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ সসিকালা নটরাজনসহ তিন সহযোগীকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, ১৯৯১ থেকে ৯৬ সালে প্রথমবারের মতো তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পদ গড়েছেন।
মহারাষ্ট্রের বিধান সভা নির্বাচন সামনে রেখে ‘একলা চলো’ নীতি বেছে নিয়েছে রাজ্যের দীর্ঘদিনের দুই রাজনৈতিক জোট।
ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের খবরে বলা হয়- মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার একদিন আগে বৃহস্পতিবার বিজেপি ও শিবসেনার দীর্ঘ ২৫ বছরের জোট ভেঙে যাওয়ার ঘোষণা আসে।
একই দিন কংগ্রেসের সঙ্গে ১৫ বছরের রাজনৈতিক জোট ভাঙার করার ঘোষণা দেয় শারদ পাওয়ারের এসিপি বা ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি।
কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বিরাজ চাভেন বলেন, “বিজেপি শিব সেনার সঙ্গে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই এনসিপি আমাদের সঙ্গে জোটের সমাপ্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্ভবত তারা নতুন মিত্র পেয়েছে। নতুন বন্ধু কারা, ৩/৪ দিনের মধ্যে হয়তো তা জানা যাবে।”
এদিকে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার বিজেপির সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালাচ্ছেন বলে রাজ্যে জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে।
তবে এনসিপি বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলছে, “রাজনীতি নিয়ে খেলা কংগ্রেসের পুরোনো ইতিহাস। তারা কখনো বলে আমরা বিজেপির সঙ্গে গেছি, আবার কখনো বলে শিব সেনার সঙ্গে গেছি। গত ১৫ বছর ধরেই এমনটি বলে আসছে।”
আগামী ১৫ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের বিধান সভা নির্বাচন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগ মুহূর্তে দলগুলোর পুরোনো বন্ধু ত্যাগ প্রমাণ করছে, এবারের নির্বাচনে লড়াই হবে চতুর্মুখী।
এ রাজ্যে গত ১৬ বছর ধরে ভোটাররা হয় কংগ্রেস জোটকে অথবা বিজেপি জোটকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তবে এবার ঝুলন্ত পার্লামেন্ট দেখা যেতে পারে, যেখানে কোনো দলেরই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে না বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এনসিপির মতোই ২৫ বছরের জোটসঙ্গী শিব সেনাকে ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে থাকা বিজেপি।
বিজেপি নেতা রাজিব প্রতাপ রাডি বলেন, তার দল শিব সেনাদের সঙ্গে মিটমাট করার বহু চেষ্টা করেছে। তবে এখন সময় শেষ।
“এখন আগের চেয়েও ভালো কিছু হবে, এনসিপি ও কংগ্রেসকে রাজ্যের নেতৃত্ব থেকে সরানো যাবে,” বলেন তিনি।
বাদি পক্ষের অভিযোগ, প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে জয়ললিতা মাত্র এক রূপি বেতন নিতেন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে তিনি কমপক্ষে ৬৬ কোটি রূপির অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ললিতার অবৈধ সম্পদের মধ্যে দুই হাজার একর জমি, ৩০ কেজি সোনা এবং ১২ হাজার শাড়ি রয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে মামলাটি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছেন জয়ললিতা।
তার বক্তব্য, রাষ্ট্রপক্ষ তার আগের সম্পদের মূল্য কমিয়ে দেখেছে, অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া আয়ও এড়িয়ে গেছে। এবং তার সম্পদের প্রকৃত মূল্য থেকে বাড়িয়ে দেখাচ্ছে।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৩৯টি আসনের মধ্যে ৩৭টিতে জয়ী হয়ে চমক দেখিয়েছে ললিতার দল এআইএডিএমকে। দুই বছর পরই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০০১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো তামিলনাডুর ক্ষমতায় আসে জয়ললিতার দল। তখন বিরোধী পক্ষের দাবির মুখে বিচারের নিরপেক্ষতার স্বার্থে মামলাটি ব্যাঙ্গালুরুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
বেঙ্গালুরু, ২৭ সেপ্টেম্বর (সংবাদ সংস্হা)– আইনের ধাক্কায় ধরাশায়ী ‘আম্মা’৷ ১৮ বছর ধরে চলা আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এ আই এ ডি এম কে নেত্রী জয়ললিতাকে ৪ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিল৷ একই সঙ্গে ধার্য হয়েছে ১০০ কোটি টাকা জরিমানা৷ এই রায়ের অর্থ, তামিলনাড়ুর বিধায়ক পদও খারিজ হয়ে যাচ্ছে তাঁর৷ যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী পদও৷ কারণ, গত বছরই সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত রাজনীতিকদের ওপর শাস্তির খক্ট ঝুলিয়ে দিয়েছে৷ সেই রায় অনুযায়ী কোনও সাংসদ বা বিধায়ক দু’বছর বা তার বেশি সময়কালের জন্য কারাদণ্ড পেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনসভার সদস্যপদ হারাবেন৷ কারাবাসের পর ৬ বছরের জন্য ভোটেও লড়তে পারবেন না৷ তার মানে উচ্চ আদালতে রায় খারিজ না হলে, বা জেলের মেয়াদ না কমলে আগামী দশ বছর ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না এ আই এ ডি এম কে-র অধীশ্বরী৷ আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির এই মামলায় আজ জয়ললিতার সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তাঁর বান্ধবী শশিকলা নটরাজন, জয়ললিতার পালিত পুত্র সুধাকরন ও তাঁর ভাইঝি ইলাভরসি৷ এই মামলায় রায়দানে উপস্হিত থাকতে চেন্নাই থেকে আজ সকালেই বিশেষ বিমানে শশিকলা ও অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে জয়ললিতা পৌঁছন বেঙ্গালুরুর এইচ এ এল বিমানবন্দরে৷ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন হয়েছিল বেঙ্গালুরু শহরের সর্বত্র৷ কড়া নিরাপত্তায় বিমানবন্দর থেকে জয়ললিতা ও অন্য অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয় পরপপনা অগ্রহারা কারাগারে তৈরি করা বিশেষ আদালতকক্ষে৷ দুপুর ২টোর ভেতরই বিশেষ বিচারক জন মাইকেল ডি’কুনহা জয়ললিতা, শশিকলা-সহ ৪ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন৷ বিকেল ৩টের পর তাঁদের শাস্তির রায় ঘোষণা করেন৷ এই রায়ের পর পুলিস কারাগারে নেওয়ার উদ্যোগ করতেই ৬৬ বছর বয়সী এ আই এ ডি এম কে-র সাধারণ সম্পাদক জয়ললিতা শারীরিক অস্বস্তি বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কারাগার তথা বিশেষ আদালতের বাইরের রাস্তাগুলিতে তখন তামিলনাড়ু থেকে নিরাপত্তার ফাঁক গলে ঢুকে পড়া এ আই এ ডি এম কে কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভ৷ অবস্হা সামলাতে পুলিস লাঠিচার্জ করে৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে তামিলনাড়ুর পরিস্হিতি৷ আম্মার উন্মত্ত অনুগামীদের রোষের মুখে পড়ে বিরোধী দল ডি এম কে৷ পোড়ানো হয় যানবাহন৷ ইট পাটকেল ছোঁড়া হয় ডি এম কে প্রধান করুণানিধির বাড়িতে৷ রাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন করুণানিধি৷ বলেন, তামিলনাড়ুর আইনশৃঙ্খলা পরিস্হিতি ভেঙে পড়েছে৷ এখনই হস্তক্ষেপ করুক কেন্দ্রীয় সরকার৷ রায়ের খবরে ডি এম কে শিবিরে অনিবার্যভাবেই ছড়িয়েছে উল্লাস, আশা৷ তবে জাতীয় রাজনীতির দুই প্রধান দল বি জে পি এবং কংগ্রেস অত্যম্ত সতর্ক৷ বি জে পি-র সহ সভাপতি মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন, এটা বিচার প্রক্রিয়ার অংশ৷ শেষ রায় নয়৷ রাজনৈতিক স্বার্থে একে ব্যবহার করার চেষ্টা দুর্ভাগ্যজনক৷ কংগ্রেস মুখপাত্র আনন্দ শর্মা বলেন, এ দেশে আইনের শাসন আছে৷ রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা আদালতের রায়কে সম্মান করি৷ আইনের প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি, এ কথাও উল্লেখ করেন আনন্দ শর্মা৷ ১৮ বছর আগে বি জে পি-র যে নেতা জয়ললিতার বিরুদ্ধে এই মামলাটি এনেছিলেন, সেই সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অবশ্য তৃপ্ত৷ তাঁর প্রতিক্রিয়া, আমার ধারনা, জয়ললিতা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না৷ ১৯৯৬ সালে ড. সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, তখন তিনি জনতা পার্টির নেতা, জয়ললিতার বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির এই দুর্নীতির মামলা দায়ের করেন৷ অভিযোগ ছিল, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যম্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় জয়ললিতা আয়-বহির্ভূতভাবে বিপুল অর্থ ও সম্পত্তি করেছেন৷ নগদে তাঁর টাকার পরিমাণ ৬৬ কোটি ৬৫ লক্ষ, অবৈধভাবে তাঁর রয়েছে ২ হাজার একর জমি, গয়না ও সোনার পরিমাণ ৩০ কেজি, তাঁর শাড়ির সংখ্যা ১২ হাজার৷ অভিযোগে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ১৯৯১-এ প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যে জয়ললিতা ঘোষিতভাবে মাসে ১ টাকা বেতন নিতেন, তিনি কী করে এত সম্পত্তি করলেন? সুব্রহ্মণ্যম স্বামী যখন এই এফ আই আর দায়ের করেন, সেই ১৯৯৬-এ তখন সবে তামিলনাড়ুতে ক্ষমতায় এসেছে ডি এম কে নেতা করুণানিধির সরকার৷ দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে জয়ললিতাকে ফিলিপিন্সের স্বৈরশাসিকা কোরাজন আকুইনোর সঙ্গে তুলনা করত ডি এম কে৷ ওই বছর ৭ ডিসেম্বর বিরোধী নেত্রী জয়ললিতাকে এই মামলার কারণে গ্রেপ্তার করে করুণানিধি সরকার৷ তবে কয়েক সপ্তাহের ভেতর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়৷ সে-সময় রাজ্যপাল ফতিমা বিবি তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার যে সম্মতি দিয়েছিলেন, জয়ললিতা তার বিরুদ্ধে তিন-তিনটি আবেদন করেছিলেন, ১৯৯৭-এর ১ অক্টোবর মাদ্রাজ হাইকোর্ট তিনটি আবেদনই খারিজ করে দেয়৷ মুখ্যমন্ত্রী পদ খোয়ানোর ঘটনা জয়ললিতার ক্ষেত্রে আগেও ঘটেছে৷ ২০০১-এ এ আই এ ডি এম কে আবার তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করায় আম্মা জয়ললিতা ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন৷ ওই বছরই অন্য একটি দুর্নীতির মামলায় জয়ললিতার দু’বছর শাস্তির রায় ঘোষিত হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর নিয়োগের রাজ্যপালের (ফতিমা বিবি) আদেশ খারিজ করে দেন৷ মুখ্যমন্ত্রী পদে অনুগত এক জুনিয়র মন্ত্রী পনিরসেলভামকে বসিয়ে জয়ললিতা সে-সময় তৎপর হন মামলা লড়তে৷ সে-সময় থেকেই জয়ললিতা ও তাঁর দলের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাতেই এসব দুর্নীতির মামলা৷ পরের বছর ২০০২-এর ফেব্রুয়ারিতেই এই দুর্নীতির মামলায় জয়ললিতা অভিযোগমুক্ত হয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন৷ সে-বছর উপনির্বাচনেও তিনি বিপুলভাবে জিতে যান৷ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আনা মামলাটি তাঁর বিরুদ্ধে চলছিলই৷ এ মামলায় ১৯৯৭ সালে আদালত চার্জ গঠন করেছিল জয়ললিতা, শশিকলা-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে৷ ২০০২ সালে জয়ললিতা মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর থেকে অভিযোগের পক্ষে থাকা বেশ কিছু সাক্ষী আদালতে মত পরিবর্তন করেছিলেন৷ তামিলনাড়ু রাজ্যে এই মামলা চললে শাসক দল (এ আই এ ডি এম কে) প্রভাব খাটাবে– এই আশঙ্কা প্রকাশ করে ডি এম কে নেতাকে আনবাঝাগান সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন মামলাটি চেন্নাইয়ের আদালত থেকে তামিলনাড়ুর বাইরের কোনও আদালতে পাঠানোর৷ এই আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০০৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি প্রতিবেশী কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে পাঠায়৷ এই মামলা চালাতে আয়োজক রাজ্য হিসেবে কর্ণাটক ২ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছে বলে এক তথ্য জানার অধিকারের আবেদনে জানা গেছে৷ ১৮ বছরে এই মামলায় ৫ জন বিচারক পরিবর্তন হয়েছে৷ ২০১২-য় সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় বিশেষ বিচারক হিসেবে জন মাইকেল ডি’কুনহাকে নিয়োগ করে৷ বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি নিয়োগ করে জি ভবানী সিংকে৷ নির্ধারিত ছিল ২০ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় দেওয়া হবে৷ কিন্তু জয়ললিতা তাঁর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পরিবর্তনের কথা বলায় আজ এই মামলার রায় দেওয়া হল৷ এই রায়ের দিনটিতে বেঙ্গালুরুতে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য গত রাত থেকেই কর্ণাটকে ঢোকার চেষ্টায় নেমে পড়েছিলেন এ আই এ ডি এম কে কর্মী৷ এমন শঙ্কা আগে থেকে থাকায় কর্ণাটকও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্হা করেছিল তামিলনাড়ু-কর্ণাটকের সীমাম্তপথ আট্টিভেলিতে৷ কয়েক হাজার পুলিস, কর্ণাটক রাজ্য রিজার্ভ পুলিস, র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ছিল সীমাম্তে৷ তামিলনাড়ু থেকে আসা গাড়ি, ট্রাক, বাসে গত রাত থেকেই তল্লাশি চলে৷ বেঙ্গালুরু শহর ছিল কঠোর নিরাপত্তায় মোড়া৷ তা সত্ত্বেও কয়েকশো এ আই এ ডি এম কে কর্মী-সমর্থক বিক্ষোভ দেখান বেঙ্গালুরুর ওই জেল বিশেষ আদালত এলাকায়৷ পুলিস লাঠিচার্জ করে সামাল দেয়৷ রায়ের সঙ্গে সঙ্গে উত্তাল হয়ে ওঠে সারা তামিলনাড়ু৷ এই রায়ের পর চেন্নাইয়ে আন্না আরিভালাইয়ামে ডি এম কে সদর দপ্তরে, গোপালপুরমে ডি এম কে সভাপতি করুণানিধির বাসভবনের সামনে উল্লাস প্রকাশ করছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা৷ এ আই ডি এম কে-র বিক্ষোভ মিছিল ধেয়ে আসতে মারামারি বেধে যায়৷ ডি এম কে দলের তরফে পুলিসের কাছে সাহায্য চাইতে পুলিস ঘিরে ফেলে ডি এম কে-র সদর দপ্তর, করুণানিধির বাড়ি৷ পুলিসের নিরাপত্তা জারি হওয়ার আগে প্রচুর ঢিল-পাটকেল ছোঁড়া হয় করুণানিধির বাড়ি ও ডি এম কে-র সদর দপ্তরে৷ রাতে বিভিন্ন জেলা থেকে সঙঘর্ষের খবর আসছে৷ করুণানিধি ছবির হোর্ডিং, ডি এম কে-র পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে, পোড়ানো হচ্ছে৷ চেন্নাইয়ে যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে৷ আগুন লাগানো হয়েছে বাসে, ট্রাকে৷ করুণানিধির ছেলে স্ট্যালিন, আলাগিরির বাড়িও পুলিস ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তার কারণে৷ ডি এম ডি কে সভাপতি বিজয় কাম্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন৷ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্হিতি নিয়ে রাজ্যপাল কে রোসাইয়া প্রশাসন ও পুলিস কর্তাদের নিয়ে রাতে বসছেন জরুরি বৈঠকে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্য প্রশাসনকে বার্তা পাঠিয়ে বলেছে তামিলনাড়ুর পরিস্হিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ব্যবস্হা নেওয়ার৷ জানিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্র সবরকম সাহায্যে প্রস্তুত৷ এই মামলা যিনি এনেছিলেন, সেই সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর বাড়িতে রাতে ইট-পাথর ছোঁড়া হয়েছে৷ ২ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হলেই সাংসদ, বিধায়ক, পদাধিকারীদের পদ খোয়ানোর সুপ্রিম কোর্টের গত বছরের নির্দেশের পর জয়ললিতাই প্রথম কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যিনি পদ খোয়ালেন৷ আজ বেঙ্গালুরুর আদালতের রায়টি এই কারণেই ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণও, কারণ এই রায় বিভিন্ন রাজ্যে অভিযুক্ত রাজনীতিকদের ভেতর যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি করবে৷ সি পি আই নেতা ডি রাজা সেদিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, এই রায় সুদূরপ্রসারী৷ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এখন বি জে পি-র নেতা৷ তাঁরই আনা অভিযোগে জয়ললিতা কারাদণ্ডিত হওয়ায় তিনি আজ সন্ধ্যায় বলেছেন, তিনি যে অভিযোগ করেছিলেন, আজ তা প্রমাণ হল৷ জয়ললিতা যেভাবে দোষী বলে শাস্তিপ্রাপ্ত হলেন, সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না৷ বি জে পি নেতা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই রায়ের পর কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি৷ সি পি আই নেতা ডি রাজা বলেন, জয়ললিতা জেলে গেলেও তামিলনাড়ুতে এ আই এ ডি এম কে সরকার পড়ে যাওয়ার কারণ নেই৷ যথেষ্ট গরিষ্ঠতা আছে তাদের৷ তবে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে এই রায়ের দূরপ্রসারী প্রভাব পড়বেই৷ জয়ললিতা যদি উচ্চ আদালতেও যান, এই মুহূর্তে তামিলনাড়ুর নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে কাউকে বসাতে হবে কারাগারগামী আম্মাকে৷ কে হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী? শোনা যাচ্ছে আগে জয়ললিতার অনুপস্হিতিতে যিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সেই পনিবসেলভামের নাম৷ তিনি এখন অর্থমন্ত্রী৷ এছাড়াও রয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী নাথাম বিশ্বনাথ, পরিবহণমন্ত্রী সেনাথল বালাজি৷ এম জি রামচন্দ্রনের হাত ধরে অভিনেত্রী, তামিল ছবির মহানায়িকা জয়ললিতার রাজনীতিতে আসাটা যথেষ্ট লড়াইয়ে৷ রামচন্দ্রনের প্রয়াণের পর দলের নেতৃত্ব নেওয়ার সময়ও যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে৷ প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই মামলা৷ লড়াকু নেত্রী জয়ললিতা হয়ত উচ্চ আদালতেই যাবেন৷ দুর্নীতির এসব মামলা সত্ত্বেও তামিলনাড়ুতে বিপুল জনপ্রিয় আম্মা৷ গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৩৯টি আসনের ৩৭টিই পেয়েছিল এ আই এ ডি এম কে৷
8.15 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் 4 ஆண்டுகள் சிறைத் தண்டனை விதிக்கப்பட்டதால், ஜெயலலிதா பெங்களூரில் பரப்பன அக்ராஹாரத்தில் உள்ள மத்திய சிறையில் அடைக்கப்பட்டார்.
ஜாமீன் பெற விரும்பினால் கர்நாடகா உயர் நீதிமன்றத்தில்தான் அவர் மனு செய்ய முடியும். இப்போது தசரா விடுமுறை நாட்கள் என்பதால் அக்டோபர் 6-ஆம் தேதி முடியும் வரை அவர் காத்திருக்க வேண்டும்.
4 ஆண்டுகள் சிறைத்தண்டனையுடன் ரூ.100 கோடி அபராதம் விதிக்கப்பட்டது. அரசியல்வாதி ஒருவருக்கு ரூ.100 கோடி அபராதம் விதித்து தீர்ப்பு எழுதப்பட்டுள்ளது இதுவே முதல் முறை.
சசிகலா, இளவரசி, சுதாகரன் ஆகியோருக்கும் 4 ஆண்டுகள் சிறைத் தண்டனை விதிக்கப்பட்டது. இவர்களுக்கு தலா ரூ.10 கோடி அபராதம் விதிக்கப்பட்டுள்ளது. இவர்களும் பரப்பன அக்ரஹார மத்திய சிறையில் அடைக்கப்பட்டனர்.
6.45 PM: பெரம்பலூரில் முன்னாள் மத்திய அமைச்சர் ஆ.ராசா வீட்டை அதிமுகவினர் கல்வீசித் தாக்கியதை அடுத்து திமுக-அதிமுகவினரிடையே கடும் மோதல் ஏற்பட்டது. இருதரப்பினரும் கற்களை வீசித் தாக்குதல் நடத்திக் கொண்டனர். பெரம்பலூர் பேருந்து நிலையத்திலிருந்த 50 அடி திமுக கொடிக் கம்பம் சாய்க்கப்பட்டு அதன் சிமெண்ட் அடித்தளம் முற்றிலும் பெயர்த்து எறியப்பட்டது. மேலும் திமுக தலைவர் கருணாநிதியின் உருவ பொம்மையும் எரிக்கப்பட்டது. சாலை மறியல் செய்து போக்குவரத்தை ஸ்தம்பிக்கச் செய்தனர். பேருந்துகள் தற்போது நிறுத்தப்பட்டுள்ளன.
6.30PM: சென்னையில் முக்கிய சாலைகள் அனைத்தும் வெறிச்சோடி கிடக்கின்றன. மதுரை, திருச்சி, கோவை உள்ளிட்ட முக்கிய நகரங்களிலும் இதே நிலைதான். பாதுகாப்பு நடவடிக்கைகள் தீவிரப்படுத்தப்பட்டுள்ளன.
6.20 PM: ஜெயலலிதா மீதான சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் தீர்ப்பு அவருக்கு எதிராக அமைந்ததால், விருதுநகரில் அதிமுக தொண்டர் ஒருவர் தீக்குளித்தார்.
6.15 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் ஜெயலலிதா முதல்வர் பதவியில் இருக்கும்போதே தண்டிக்கப்பட்டதால் தமிழகத்திற்கு தலைக்குனிவு ஏற்பட்டுள்ளதாக தேமுதிக தலைவர் விஜயகாந்த் தெரிவித்துள்ளார்.
6.00 PM: ராஜ்பவனில் ஆளுநர் ரோசைய்யாவை சந்தித்த தமிழக டி.ஜி.பி. போலீஸ் கமிஷனர், தமிழக தலைமைச் செயலாளர் ஆகியோர் மாநிலத்தின் சட்டம் ஒழுங்கு நிலைமை குறித்து விவரித்தனர்.
5.52 PM: ஜெயலலிதா சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் குற்றவாளி என தீர்ப்பு வழங்கப்பட்டுள்ளதால், தமிழக நிலவரம் குறித்து ஆலோசிக்க மாநில போலீஸ் டி.ஜி.பி., மாநகர போலீஸ் ஆணையர், தலைமைச் செயலாளர் உள்ளிட்ட அரசு உயர் அதிகாரிகள் ஆகியோர் ஆளுநர் ரோசைய்யாவை சந்திக்க விரைந்தனர்.
5.14 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் குற்றம் நிரூபிக்கப்பட்ட சசிகலா, இளவரசி, சுதாகரன் ஆகிய மூவருக்கும் 4 ஆண்டுகள் சிறைத் தண்டனையும், தலா ரூ.10 கோடி அபராதம் விதித்து நீதிமன்றம் உத்தரவிட்டது.
5.05 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில், ஜெயலலிதாவுக்கு 4 ஆண்டுகள் சிறைத் தண்டனையும், ரூ.100 கோடி அபராதமும் விதித்து பெங்களூர் சிறப்பு நீதிமன்றம் பரபரப்பு தீர்ப்பு வழங்கியது. |தீர்ப்பின் முழு விவரத்துக்கு ஜெயலலிதாவுக்கு 4 ஆண்டு சிறைத் தண்டனை; ரூ.100 கோடி அபராதம்: பெங்களூர் நீதிமன்றம் பரபரப்பு தீர்ப்பு
5.00 PM: பதவியில் இருக்கும் முதல்வர் ஒருவர் மீது ஊழல் தடுப்புச் சட்டத்தின் கீழ் குற்றச்சாட்டு நீதிமன்றத்தில் நிரூபிக்கப்பட்டது நாட்டில் இதுவே முதல் முறையாகும்.
4.56 PM: பெங்களூரு பரப்பன அக்ரஹார நீதிமன்றம் அருகே இருந்த அதிமுகவினர் அனைவரையும் பெங்களூரு போலீஸார் வலுக்கட்டாயமாக பேருந்துகளில் ஏற்றி அப்புறப்படுத்தினர்.
4.37 PM: ஜெயலலிதா சொத்துக் குவிப்பு வழக்கின் தீர்ப்பின் எதிரொலியாக எழும் அடிப்படைக் கேள்விகளும், அவற்றுக்கான பதில்களும் இதோ - ஜெயலலிதா குற்றவாளி என தீர்ப்பு: அடுத்து என்ன?
4.25 PM: சென்னை கிழக்கு கடற்கரைச் சாலையில் உள்ள பல்வேறு மென்பொருள் நிறுவனங்களுக்கு விடுமுறை விடப்பட்டன. ஊழியர்கள் உடனடியாக வீடுகளுக்குச் செல்லுமாறு அறிவுறுத்தப்பட்டனர்.
4.22 PM: பொதுவாழ்வில் நேர்மையற்ற நடைமுறை, லஞ்சம், ஊழலில் ஈடுபடுவோர் அனைவருக்கும் எச்சரிக்கையாக இத்தீர்ப்பு அமைந்துள்ளது என்று மார்க்சிஸ்ட் கம்யூனிஸ்ட் கட்சியின் தமிழ்நாடு மாநில செயற்குழு கருத்து தெரிவித்துள்ளது.| படிக்க: ஜெயலலிதா பதவி விலக வேண்டும்: மார்க்சிஸ்ட் வலியுறுத்தல்
4.20 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கு தீர்ப்பு ஜெயலலிதாவுக்கு எதிராக அமைந்ததால் மாநிலம் முழுவதும் நிலவும் பதற்றமான சூழல் காரணமாக சென்னை கோயம்பேடு புறநகர் பேருந்து நிலையத்தில் இருந்து வெளளியூர் செல்லும் பேருந்துகள் நிறுத்தப்பட்டன.
4.17 PM: காஞ்சிபுரத்தில் பேருந்து எரிக்கப்பட்டது. அதைத் தீயணைப்புப் படையினர் அணைத்தனர். யாரும் காயமடையவில்லை.| படம்: கோபாலகிருஷ்ணன்
4.15 PM: பெங்களூர் சிறப்பு நீதிமன்ற வளாகத்திற்கு வெளியில் காத்திருப்பவர்கள் அமைதியாகவே இருக்கின்றனர். ஓசூர் சாலையிலும் கூட்டம் கலைந்து வருகிறது. தேசிய நெடுஞ்சாலையில் போக்குவரத்து சுமுகமாக இருக்கிறது.
4.10 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கு தீர்ப்பை எதிர்த்து சென்னை அம்பத்தூரில் பேருந்து எரிக்கப்பட்டது.
4.05 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கு தீர்ப்பையடுத்து சென்னை உள்பட தமிழகத்தின் பல்வேறு இடங்களிலும் பதற்றம் நிலவுகிறது. புதுச்சேரியில் அமைதியான சூழல் நிலவினாலும், அங்கிருந்து சென்னைக்கு வரும் பேருந்துகள் நிறுத்தப்பட்டுள்ளன. | படிக்க - ஜெ. வழக்கு தீர்ப்பு எதிரொலி: தமிழகத்தில் வன்முறை நீடிப்பதால் பதற்றம் |
4.00 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கு தீர்ப்பையடுத்து தமிழகம் முழுவதும் பரவலாக அதிமுகவினர் மறியலில் ஈடுபட்டுள்ளனர். வெளியூர்களில் இருந்து வரும் பேருந்துகள் மதுராந்தகத்தில் நிறுத்தி வைக்கப்பட்டுள்ளன. பேருந்துகள் நடுவழியில் நிறுத்தப்பட்டதால் பயணிகள் பெரும் அவதிக்குள்ளாகியுள்ளனர்.
3.55 PM: தமிழகம் முழுவதும் உள்ள திரையரங்குகளில் இன்று மாலை, இரவுக் காட்சிகள் ரத்து செய்யப்படுவதாக தமிழ்நாடு திரைப்பட உரிமையாளர்கள் சங்கம் அறிவித்துள்ளது.
3.40 PM: சென்னை கோபாலபுரத்தில் உள்ள திமுக தலைவர் கருணாநிதி வீட்டின் முன் திமுக தொண்டர்கள் உருட்டுக்கட்டைகள், இரும்புக் கம்பிகள் ஏந்தியவாறு பாதுகாப்புப் பணியில் ஈடுபட்டுள்ளனர்.
3.35 PM: சென்னை ராயப்பேட்டை லாய்ட்ஸ் சாலையில் சாலை மறியலில் ஈடுபட்ட அதிமுக மகளிர் அணியினர் பேருந்துகள் மீது கல் வீசி தாக்குதலில் ஈடுபட்டனர்.
3.30 PM: திமுக தலைவர் கருணாநிதியின் கோபாலபுரம் வீட்டுக்குச் செல்லும் பாதை அனைத்தும் மூடப்பட்டுள்ளன. பாதுகாப்புப் பணியில் ஈடுபட்ட போலீஸாரிடம் அதிமுகவினர் வாக்குவாதத்தில் ஈடுபட்டனர். கருணாநிதிக்கு சாதகமாக போலீஸார் செயல்படுவதாக கண்டனம் தெரிவித்தனர்.
3.28 PM: சென்னை ராயப்பேட்டை லாய்ட்ஸ் சாலையில் அதிமுக மகளிரணியினர் சாலை மறியலில் ஈடுபட்டுள்ளனர். திமுக தலைவர் கருணாநிதி உருவ பொம்மையை எரித்து ஆர்ப்பாட்டத்தில் ஈடுபட்டனர்.
15.25 PM: சென்னை கோபாலபுரத்தில் உள்ள திமுக தலைவர் கருணாநிதி வீட்டினுள் நுழைய அதிமுகவினர் முயற்சி செய்தனர். இதனால் அங்கு குவிந்திருந்த திமுக தொண்டர்களுக்கும் - அதிமுகவினருக்கும் இடையே கடும் மோதல் ஏற்பட்டது. இதில் பலரருக்கு பலத்த காயம் ஏற்பட்டுள்ளது. கருணாநிதி வீட்டின் மேல் கல் வீசி தாக்குதல் நடத்தப்பட்டது.
2.52 PM: முன்னெச்சரிக்கை நடவடிக்கையாக மதுரையில் இருந்து தென் மாவட்டங்களுக்குச் செல்லும் அரசுப் போக்குவரத்துக் கழக பேருந்துகள் நிறுத்தப்பட்டுள்ளன.
2.50 PM: மதுரையில் ஆங்காங்கே கல் வீச்சு சம்பங்கள் நடந்துள்ளன. பாஜக தலைவர் சுப்பிரமணியன் சுவாமி வீட்டிற்கு கூடுதல் போலீஸ் பாதுகாப்பு போடப்பட்டுள்ளது. மதுரை மீனாட்சியம்மன் கோயிலைச் சுற்றிய பகுதிகளில் உள்ள கடைகள் மூடப்பட்டன.
2.50 PM: ஜெயலலிதாவின் தொகுதியான ஸ்ரீரங்கத்தில் பதற்றம் நிலவுகிறது. கடைகளை மூடுமாறு அதிமுகவினர் வலியுறுத்தி வருகின்றனர். பலர் தாங்களாகவே முன் வந்து கடைகளை மூடினர்.
2.47 PM: ஜெயலலிதா குற்றவாளி தீர்ப்பு எதிரொலி: கோவையில் வாகனங்கள் அடித்து உடைப்பு, அதிமுக-வினர் ரகளை. அவினாசி சாலையில் அதிமுகவினர் ஆர்பாட்டம் செய்து வருகின்றனர். அங்கு கூடியிருக்கும் காவல்துறையினர் வேடிக்கைப் பார்ப்பதாக அங்கிருந்து வரும் செய்திகள் தெரிவிக்கின்றன.
2.45 PM: சென்னையில், அதிமுக தலைமை அலுவலகத்தில் கூடியிருந்த அதிமுக தொண்டர்கள் சோகத்தில் ஆழ்ந்தனர். அதிமுக மகளிர் அணியினர் நீதிமன்ற தீர்ப்பு வெளியானதில் இருந்து கதறி அழுது வருகின்றனர்.
2.40 PM: தீர்ப்பு வழங்கப்பட்டபோது எதிர்தரப்பு வழக்கறிஞர் குற்றவாளிகளுக்கு அதிகபட்ச தண்டனை வழங்கப்பட வேண்டும் என வாதிட்டார். அப்போது ஜெயலலிதா தரப்பில் வாதிட்ட வழக்கறிஞர் வயதை கருத்தில் கொண்டு குறைந்தபட்ச தண்டனை வழங்க வேண்டும் என்றார்.
1988, ஊழல் தடுப்புச் சட்டப் பிரிவுகள் 13(2), 13(1)(e) கீழ் ஜெயலலிதாவுக்கு குறைந்தபட்சம் ஓராண்டு சிறைத் தண்டனையும், அதிக பட்சமாக 7 ஆண்டுகள் சிறைத் தண்டனையும் விதிக்கப்பட வாய்ப்பிருக்கிறது.
2.35 PM: பெங்களூர் சிறப்பு நீதிமன்ற வழக்கறிஞர் பவானி சிங், 'தி இந்து'விடன் கூறியதாவது: "சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் ஜெயலலிதா மீதான அனைத்து குற்றச்சாட்டுகளும் நிரூபிக்கப்பட்டுள்ளன. தண்டனை விபரம் மீதான விவாதம் 3 மணிக்கு தொடங்குகிறது. எதிர்தரப்பு சார்பில், ஜெயலலிதாவுக்கு அதிகபட்ச தண்டனை வழங்க வேண்டும் என வாதிடப்படும்.
'முதல்வர் பதவியை இழக்கிறார் ஜெயலலிதா'
மக்கள் பிரதிநிதித்துவ சட்டத்தின்படி ஜெயலலிதா எம்.எல்.ஏ. பதவியில் இருந்து தகுதி நீக்கம் செய்யப்படுகிறார். அவரது முதல்வர் பதவியையும் இழக்கிறார். தீர்ப்பை அடுத்து முதல்வர் ஜெயலலிதாவின் காரில் இருந்து தேசியக் கொடி அகற்றப்பட்டது" என்றார்.
2.25 PM: ஜெயலலிதாவின் கூட்டாளிகள் சசிகலா, வி.என்.சுதாகரன், ஜெ.இளவரசி ஆகியோர் மீதான குற்றச்சாட்டுகளும் 1988, ஊழல் தடுப்புச் சட்டத்தின் கீழ் நிரூபிக்கப்பட்டுள்ளதாக நீதிபதி அறிவித்தார்.
2.22 PM : சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் ஜெயலலிதா குற்றவாளி என தீர்ப்பளிக்கப்பட்டதால் அவர் பதவியை இழக்கிறார்.
2:20 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில், முதல்வர் ஜெயலலிதா மீதான குற்றச்சாட்டுகள் நிரூபிக்கப்பட்டன. தண்டனை விபரம் மீதான விவாதம் 3 மணிக்கு துவங்குகிறது.
2.10 PM: உணவு இடைவேளைக்காக நீதிமன்றம் ஒத்திவைக்கப்பட்டுள்ளது. மீண்டும் பகல் 3 மணிக்கு நீதிமன்ற நடவடிக்கைகள் தொடரும்.
2.05 PM: ஜெயலலிதா சொத்துக் குவிப்பு வழக்கு தீர்ப்பு மிகுந்த எதிர்ப்பார்ப்பை ஏற்படுத்தியுள்ள நிலையில், அதிமுக அலுவலகத்தில் காலையில் இருந்த மகிழ்ச்சிக் கொண்ட்டாடம் சற்று குறைந்துள்ளது. அதிமுக தொண்டர்கள் சற்று அமைதியுடன் காணப்படுகின்றனர்.
2.02 PM: பாஜக தலைவர் சுப்பிரமணியன் சுவாமி, சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் ஜெயலலிதாவுக்கு சிறை வழங்கப்படும் என்ற தொனியில் ட்விட்டரில் ஒரு ட்வீட் பதிவு செய்துள்ளார். 'Jail for jaya = jj' என அவர் பதிவு செய்துள்ளார்.
1.53 PM: தமிழக முதல்வர் ஜெயலலிதா மீதான சொத்துக்குவிப்பு வழக்கில் இன்னும் சற்று நேரத்தில் தீர்ப்பு வெளியாகப் போவதை முன்னிட்டு சென்னை கோபாலபுரத்தில் உள்ள தி.மு.க. தலைவர் கருணாநிதியின் வீட்டிற்கு பலத்த போலீஸ் பாதுகாப்பு போடப்பட்டுள்ளது.
1.40 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் தீர்ப்பு வெளியாகவுள்ள நிலையில், சென்னையில் பல இடங்களில் அரசு கேபிள் சேவையில் செய்திச் சேனல்கள் பல இருட்டடிப்புச் செய்யப்பட்டுள்ளதாக தகவல்கள் தெரிவிக்கின்றன.
1.37PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் தீர்ப்பு வழங்கப்படவுள்ளதால், திமுக தலைமையகம் அண்ணா அறிவாலயத்திற்கு கூடுதல் பாதுகாப்பு கோரப்பட்டது. இதனையடுத்து, அண்ணா அறிவாலயத்தில் போலீஸ் பாதுகாப்பு அதிகரிக்கப்பட்டுள்ளது.
1.30 PM: போயஸ் கார்டனில் முதல்வர் ஜெயலலிதா வீட்டருகே 500-க்கும் மேற்பட்ட அதிமுகவினர் குவிந்துள்ளனர். தீர்ப்பு வெளியாவதற்கு முன்னரே இனிப்புகளை வழங்கியும், பட்டாசுகளை வெடித்தும் கொண்டாட்டத்தில் ஈடுபட்டுள்ளனர். சுப்பிரமணியன் சுவாமி, திமுக பொதுச் செயலாளர் அன்பழகன் போஸ்டர்களை கிழித்தெரிந்தனர்.
1.25 PM: ஓசூர் செக்போஸ்டில், திமுக தலைவர் கருணாநிதி, பொருளாளர் ஸ்டாலின் உருவ பொம்மைகளை அதிமுகவினர் எரித்து வருகின்றனர்.
1.20 PM: பெங்களூர் எலக்ட்ரானிக் சிட்டி சாலையில் குவிந்துள்ள அதிமுக தொண்டர்களை அப்புறப்படுத்த கூடுதல் போலீஸார் குவிக்கப்பட்டுள்ளனர்.
1.17 PM: தீர்ப்பு வழங்கப்படாத நிலையிலும், திமுக தலைவர் கருணாநிதியின் சென்னை கோபாலபுரம் வீட்டில் நூற்றுக்கணக்கான தொண்டர்கள் குவிந்துள்ளனர். அவர்கள் அனைவரும் உற்சாகமாக காணப்படுகின்றனர்.
1.15 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் தீர்ப்பு வெளியாகவுள்ள நிலையில், சென்னை போயஸ் கார்டனில், திமுக தலைவர் கருணாநிதி உருவ பொம்மையை அதிமுகவினர் எரித்தனர்.
12.55 PM: நீதிமன்ற வளாகத்திற்குள் 4 வேன்களில் 500 போலீஸார் சென்றுள்ளனர். நீதிமன்றத்தை சுற்றி பாதுகாப்பு மேலும் அதிகரிக்கப்பட்டுள்ளது. 3 ஆம்புலன்ஸ் வாகனங்களும் நீதிமன்ற வளாகத்திற்குள் சென்றுள்ளன.
12.47 PM: தமிழக-கர்நாடக எல்லையில், ஓசூர் கூட்டு ரோடில், தடுப்பு வேலிகளை உடைத்து கர்நாடக எல்லைக்குள் நுழைய முயன்ற அதிமுகவினர் மீது போலீஸார் தடியடி நடத்தினர்.
12.35 PM: தமிழக-கர்நாடக எல்லையில் உள்ள அத்திப்பள்ளியில், கர்நாடக போலீஸார் 1000-க்கும் மேற்பட்டோரும், தமிழக போலீஸார் 500 பேரும் பாதுகாப்புப் பணியில் ஈடுபடுத்தப்பட்டுள்ளனர். அதிமுக கொடி ஏந்திய கார்கள் கர்நாடக மாநிலத்திற்குள் அனுமதிக்கப்படவில்லை.
12.30 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் இருந்து முதல்வர் ஜெயலலிதா விடுவிக்கப்பட்டால், அவர் மீதான குற்றச்சாட்டுகள் அனைத்திலும் இருந்து அவர் விடுபடுவார். தவிர, திமுக அரசியல் காழ்ப்புணர்ச்சி காரணமாகவே தன் மீது வழக்கு தொடரப்பட்டது என்ற ஜெயலலிதாவின் வாதமும் வலுப்பெறும்.
12.18 PM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் தீர்ப்பு வழங்கப்படவுள்ள நிலையில், சென்னை அதிமுக தலைமை கழகத்தில் அக்கட்சித் தொண்டர்கள் இனிப்புகள், பட்டாசுகளுடன் குவிந்துள்ளனர். விடுதலை...விடுதலை... என்ற கோஷத்தை எழுப்பி வருகின்றனர்.
12.10 PM: பரப்பன அக்ரஹார நீதிமன்ற பகுதிக்குள் செல்ல போலீஸ் கெடுபிடி விதிக்கப்பட்டுள்ள நிலையில், அப்பகுதிக்குள் அனுமதிக்கக் கோரி ஆர்ப்பாட்டத்தில் ஈடுபட்ட அதிமுகவினர் மீது போலீஸார் லேசான தடியடி நடத்தினர்.
11.58 AM: நீதிமன்ற வளாகத்தைச் சுற்றிலும் ஜேமர் கருவிகள் பொருத்தப்பட்டுள்ளதால் தொலைதொடர்பு பாதிக்கப்பட்டுள்ளது.
11.49 AM: நீதிமன்றத்திற்குள் இருந்து வெளியே வந்த அமைச்சர் நத்தம் விஸ்வநாதனும், சென்னை மாநகராட்சி மேயர் சைதை துரைசாமியும் வெகு நேரமாக தொலைபேசியில் பரபரப்பாக பேசிக் கொண்டிருக்கின்றனர்.
11.46 AM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் பிற்பகல் 1 மணிக்கு தீர்ப்பு வழங்கப்பட இருப்பதாக முதல்வர் ஜெயலலிதாவின் உதவி வழக்கறிஞர் திவாகரன் நீதிமன்ற வளாகத்தில் இருந்த செய்தியாளர்களிடம் தெரிவித்தார்.
11.40 AM: முதல்வர் ஜெயலலிதா மீதான குற்றச்சட்டு நிரூபிக்கப்பட்டால், அவர் உடனடியாக எம்.எல்.ஏ. தகுதியை இழப்பார். அவரது பதவியை ராஜினாமா செய்ய வேண்டிய நெருக்கடி ஏற்படும்.
11.20 AM: ஜெயலலிதா மீதான சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் நீதிபதி டி குன்ஹா இன்னும் சற்று நேரத்தில் தீர்ப்பு வழங்க இருக்கிறார்.
11.05 AM: அமைச்சர் நத்தம் விஸ்வநாதன் நீதிமன்றத்திற்குள் சென்றார்.
11.02 AM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் தீர்ப்பு வழங்க நீதிபதி டி.குன்ஹா நீதிமன்றத்திற்குள் சென்றார். அவரைத் தொடர்ந்து தமிழக முதல்வர் ஜெயலலிதா, சசிகலா, இளவரசி உள்ளிட்டோரும் ஆஜராகினர். நீதிமன்ற நடவடிக்கைகள் தொடங்கின.
11.00 AM: அமைச்சர்கள் நத்தம் விஸ்வநாதன், பா.மோகன் ஆகியோர் நீதிமன்ற வளாகத்திற்கு 1 கி.மீ தூரம் நடந்தே வந்தடைந்தனர்.
10.55 AM: ஓ.பன்னீர் செல்வம், வைத்திலிங்கம், எடப்பாடி பழனிச்சாமி ஆகியோர் பரப்பன அக்ரஹார நீதிமன்ற வளாகத்திற்கு வந்தடைந்தனர்.
10.54 AM: நீதிமன்ற வளாகத்துக்குள் ஈரோடு மேயர் மல்லிகா பரமசிவத்தை காவல்துறையினர் அனுமதிக்கவில்லை. இதனால் அவர் போலீஸாருடன் கடுமையான வாக்குவாதத்தில் ஈடுபட்டார். இருப்பினும் போலீஸார் அவரை அப்பகுதியில் இருந்து வெளியேற்றினர். இதனால் அங்கு சிறிது நேரம் பரபரப்பு நிலவியது.
10.50 AM: சரியாக 10.42 மணியளவில் நீதிமன்ற வளாகத்திற்குள் வந்த முதல்வர் ஜெயலலிதா காரில் இருக்கிறார். அவருடன் சசிகலா, இளவரசியும் உள்ளனர். 10.55 மணிக்கு அவர் நீதிமன்றத்தில் ஆஜராகிறார்.
10.45 AM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் இன்னும் சற்று நேரத்தில் தீர்ப்பு வழங்கப்படவுள்ள நிலையில், ஓசூர் சாலையில், போக்குவரத்து முற்றிலுமாக நிறுத்தப்பட்டுள்ளது.
10: 38 AM: நீதிமன்றத்திற்கு வந்த முதல்வர் ஜெயலலிதா பச்சை நிற சேலை உடுத்தியிருந்தார். பச்சை நிறம் அவரது ராசியான நிறம் என்பது கவனிக்கத்தக்கது.
10.35 AM: வி.வி.ஐ.பி. பாஸ்கள் அளிக்கப்பட்ட அதிமுகவின் முக்கியப் பிரமுகர்கள், பரப்பன அக்ரஹார நீதிமன்றத்தில் இருந்து 20 மீட்டர் தூரத்தில் நிற்க வைக்கப்பட்டுள்ளனர்.
10.29 AM: நீதிமன்றத்தில் ஆஜராக தமிழக முதல்வர் ஜெயலலிதா மற்றும் வழக்கில் குற்றம் சாட்டப்பட்டுள்ள சசிகலா, இளவரசி ஆகிய மூவரும் பரப்பன அக்ரஹார நீதிமன்ற வளாகம் வந்தடைந்தனர்.
10.24 AM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் நீதிமன்றத்தில் ஆஜராக தமிழக முதல்வர் ஜெயலலிதா மற்றும் வழக்கில் குற்றம் சாட்டப்பட்டுள்ள சசிகலா, இளவரசி ஆகிய மூவரும் ஒரே காரில் பரப்பன அக்ரஹார நீதிமன்றத்திற்கு வந்து கொண்டிருக்கின்றனர்.
10.15 AM: செய்தியாளர்கள் வாகனங்கள் 3 கி.மீ தூரத்திலேயே நிறுத்தப்பட்டன. செய்தி சேகரிப்பதற்காக நீதிமன்றத்தில் இருந்து 1 கி.மீ. தூரத்தில் செய்தியாளர்கள் நிறுத்திவைக்கப்பட்டுள்ளனர்.
10.10AM: நீதிமன்ற வளாகத்திற்குள், அதிமுகவினர் மதுரை ராஜன் செல்லப்பா, முத்துராமலிங்கம், சசிகலா புஷ்பா, செங்கோட்டையன், தம்பிதுரை, தளவாய் சுந்தரம் அமைச்சர்கள் செலூர் ராஜூ, மாதரவரம் மூர்த்தி, வீரமணி, அக்ரி கிருஷ்ணமூர்த்தி, கோகுல இந்திரா, ரமணா, சின்னையா, ராஜேந்திர பாலாஜி, முன்னாள் எம்.பி.,சரோஜா, காஞ்சி பன்னீர் செல்வம் மற்றும் எம்.பி.நவநீதகிருஷ்ணன் ஆகியோர் அனுமதிக்கப்பட்டுள்ளனர்.
10.05 AM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் தீர்ப்பு வழங்கப்படுவதால் பெங்களூரில் அதிமுகவினர் குவிந்துள்ளனர். அதேவேளையில், சென்னையில் அதிமுக தலைமைக் கழகம் வெறிச்சோடி காணப்படுகிறது.
10.00 AM: ஜெயலலிதா சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் தீர்ப்பு வழங்குவதற்காக பெங்களூர் சிறப்பு நீதிமன்ற நீதிபதி டி.குன்ஹா பலத்த பாதுகாப்புடன் பரப்பன அக்ரஹார நீதிமன்ற வளாகத்திற்கு வந்தடைந்தார்.
9.58 AM: செய்தியாளர்கள் வாகனங்கள் 3 கி.மீ. தூரத்திற்கு முன்னதாகவே நிறுத்தப்படுகின்றன. அங்கிருந்து செய்தியாளர்கள நடந்து செல்கின்றனர்.
9.54 AM: பரப்பன அக்ராஹாரா பகுதிகளில் உள்ள கடைகள் அனைத்தும் அடைக்கப்பட்டுள்ளன. அப்பகுதியில் வாழும் பொதுமக்கள் வீடுகளில் இருந்து வெளியேற தடை விதிக்கப்பட்டுள்ளது. இதனால், இயல்பு வாழ்க்கை பாதிக்கப்பட்டுள்ளது.
பெங்களூர் நீதிமன்ற வளாகத்தை ஒட்டிய பகுதிகளில் கடைகள் மூடல்.
9.48 AM: முக்கியப் புள்ளிகள் வாகனங்கள் கூட ஒரு கி.மீ-க்கு முன்னதாகவே நிறுத்தப்படுகின்றன. அங்கிருந்து அவர்கள் நடந்து செல்லுமாறு அறிவுறுத்தப்பட்டுள்ளது.
9.45 AM: போலீஸ் கெடுபிடி அதிகமாக இருக்கிறது. அதிமுகவினர் மற்றும் அக்கட்சி வழக்கறிஞர்களுக்கு வாகனங்களில் செல்ல அனுமதி அளிக்கப்படவில்லை. அனைவரையும் நடந்து செல்லுமாறே போலீஸார் வலியுறுத்துகின்றனர்.
பெங்களூர் சிறப்பு நீதிமன்றம் செல்லும் வழியில் ஓசூர் சாலையில் அதிமுக தொண்டர்கள் குவிந்ததால், கடுமையாக போக்குவரத்து நெரிசல் ஏற்பட்டுள்ளது.
9.40 AM: பெங்களூர் மடிவாலா முதல் எலக்டரானிக் சிட்டி வரையிலான 5 கி.மீ. தூரத்திற்கு கடுமையான போக்குவரத்து நெரிசல் ஏற்பட்டுள்ளது.
9.08 AM: சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் தீர்ப்பு வழங்கப்படுவதையொட்டி முதல்வர் ஜெயலலிதா சிறப்பு நீதிமன்றத்தில் ஆஜராவதால், பெங்களூரில் அவர் வரும் வழி முழுவதும் கட்-அவுட், பேனர்களை அதிமுக-வினர் வைத்துள்ளனர்.
9.06 AM: பெங்களூர் பரப்பன அக்ரஹார மத்திய சிறை வளாகத்திற்குள் தங்களை அனுமதிக்கக் கோரி 500-க்கும் மேற்பட்ட அதிமுக வழக்கறிஞர்கள் நீதிமன்றத்தில் இருந்து 2 கி.மீ. தொலைவில் இருக்கும் பகுதியில் போராட்டத்தில் ஈடுபட்டுள்ளனர்.
பெங்களூர் நீதிமன்ற வளாகத்தின் முன்பு பலத்த போலீஸ் பாதுகாப்பு.
8.41 AM: ஜெயலலிதா சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் தீர்ப்பு வழங்கப்படுவதையொட்டி, சிறப்பு நீதிமன்ற கட்டிடம் அமைந்துள்ள பெங்களூர் பரப்பன அக்ரஹார மத்திய சிறை வளாகத்தில் 144 தடை உத்தரவு பிறப்பிக்கப்பட்டுள்ளது.
8.41 AM: சென்னை - போயஸ் தோட்டத்தில் இருந்து புறப்பட்ட முதல்வர் ஜெயலலிதா தனி விமானம் மூலம் பெங்களூர் செல்கிறார். முதல்வர் ஜெயலலிதாவுடன் சசிகலா, இளவரசி ஆகியோரும் புறப்பட்டனர்.
பெங்களூர் புறப்பட்ட முதல்வர் ஜெயலலிதா. | படம்: கே.வீ.ஸ்ரீனிவாசன்
8.40 AM: தமிழக முதல்வர் ஜெயலலிதா, சசிகலா, சுதாகரன், இளவரசி ஆகியோர் மீதான சொத்துக் குவிப்பு வழக்கில் இன்று காலை 11 மணிக்கு பெங்களூர் சிறப்பு நீதிமன்றம் தீர்ப்பு வழங்குகிறது. இந்த வழக்கில் இணைக்கப் பட்டுள்ள நமது எம்ஜிஆர், ஜெயா என்டர்பிரைசஸ் உள்ளிட்ட 32 தனியார் நிறுவனங்கள் மீதும் தீர்ப்பு வெளியாக இருக்கிறது. | படிக்க - ஜெ. சொத்துக் குவிப்பு வழக்கின் முழு பின்னணி
வரலாறு காணாத பாதுகாப்பு
சுமார் 40 ஆயிரத்திற்கும் மேற்பட்டோர் பெங்களூரில் குவிந்துள்ளதால் நகரில் உள்ள ஹோட்டல்கள், விடுதிகள் அனைத்தும் நிரம்பி வழிகின்றன. இதனால் ஆயிரக்கணக்கானோர் தமிழக எல்லையான ஓசூரில் தங்கியுள்ளனர். 6000 போலீஸார் பாதுகாப்பு பணியில் ஈடுபடுத்தப்பட்டுள்ளனர்.
தமிழக எல்லையில் இருந்து பெங்களூர் நோக்கி வரும் அனைத்து வாகனங்களும் தீவிர பரிசோதனைக்கு பிறகே அனுமதிக் கப்படுகின்றன. பஸ், ரயில் மற்றும் விமானம் மூலமாக பெங்களூர் வரும் அனைத்து பயணிகளும் தீவிரமாக கண்காணிக்கப்பட்டு வருகின்றனர்.
நீதிபதி டி'குன்ஹாவின் அசராத அணுகுமுறை
கடந்த 18 ஆண்டுகளாக நடைபெற்று வரும் சொத்துக் குவிப்பு வழக்கு தீர்ப்பை நெருங்கியதற்கு பெங்களூர் சிறப்பு நீதிமன்ற நீதிபதி ஜான் மைக்கேல் டி'குன்ஹாவே மிக முக்கிய காரணம். இவ்வழக்கில் நீதிபதியாக நியமிக்கப்பட்டு ஓராண்டுக்குள் தீர்ப்பெழுதும் கட்டத்திற்கு நகர்த்தியதில் அவரது கடும் உழைப்பும், அசராத அணுகு முறையும் உள்ளது. | படிக்க: 18 ஆண்டுகள்.. 6 நீதிமன்றங்கள்.. 90 நீதிபதிகள்.. தினமும் 18 மணி நேரம் இடைவிடாது பணியாற்றிய டி'குன்ஹா
ஜெயலலிதா சொத்துக் குவிப்பு வழக்கின் தீர்ப்பும், பதவி பறிப்புச் சட்டத்தின் விளைவும், நாட்டில் அரசு பொறுப்பு வகிக்கும் தலைவர்கள் நேர்மையுடன் செயல்பட வழிவகுக்கும் என்பது...
சாத்தியமே
ஓரளவுக்கு சாத்தியம்
சாத்தியம் இல்லை
தொடர்புடையவை
ஜெயலலிதா சொத்துக் குவிப்பு வழக்கின் முழு பின்னணி
Keywords: ஜெயலலிதா சொத்துக் குவிப்பு வழக்கு, ஜெ. சொத்துக் குவிப்பு வழக்கு, சொத்துக் குவிப்பு வழக்கு, பெங்களூர் நீதிமன்றம்
http://tamil.thehindu.com/tamilnadu/%E0%AE%A8%E0%AE%BF%E0%AE%95%E0%AE%B4%E0%AF%8D%E0%AE%A8%E0%AF%87%E0%AE%B0%E0%AE%AA%E0%AF%8D-%E0%AE%AA%E0%AE%A4%E0%AE%BF%E0%AE%B5%E0%AF%81-%E0%AE%9C%E0%AF%86-%E0%AE%9A%E0%AF%8A%E0%AE%A4%E0%AF%8D%E0%AE%A4%E0%AF%81%E0%AE%95%E0%AF%8D-%E0%AE%95%E0%AF%81%E0%AE%B5%E0%AE%BF%E0%AE%AA%E0%AF%8D%E0%AE%AA%E0%AF%81-%E0%AE%B5%E0%AE%B4%E0%AE%95%E0%AF%8D%E0%AE%95%E0%AE%BF%E0%AE%A9%E0%AF%8D-%E0%AE%A4%E0%AF%80%E0%AE%B0%E0%AF%8D%E0%AE%AA%E0%AF%8D%E0%AE%AA%E0%AF%81/article6452074.ece?homepage=true
No comments:
Post a Comment